সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর আরও বেশি পেটানোর অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন হাইকোর্ট মোড় এলাকায় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যেকার সংঘটিত সংঘর্ষের দৃশ্য প্রচার করার সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক সংবাদকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। ছবি: স্টার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সংলগ্ন হাইকোর্ট মোড় এলাকায় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যেকার সংঘটিত সংঘর্ষের দৃশ্য প্রচার করার সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে এক সংবাদকর্মীকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷

সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পর আরও বেশি মারধর করেছে বলে জানান আহত সংবাদকর্মী আবির আহমেদ৷ তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস পোর্টালের সংবাদকর্মী৷

আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের ভেতর মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে৷

ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে মারধর করে তার ফোনটি কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি৷

দুপুরে হাইকোর্ট মোড় এলাকায় ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷ এ সময় গুলির বিকট আওয়াজ শোনা গেছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা৷

গত মঙ্গলবার শহীদ মিনার এবং শহীদুল্লাহ হল এলাকায় ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ জানাতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচীতে অংশ নিতে আজ সকাল থেকে হাইকোর্ট মোড় এলাকায় জড়ো হতে থাকে ছাত্রদলের নেতারাকর্মীরা৷ পরে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে পরিণত হয়৷

আহত আবির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারধরের ঘটনা প্রচার করে ফেরার পথে ছাত্রলীগের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আমাকে পেছন থেকে ঘাড়ে আঘাত করে৷ এরপর আমার ফোন হাত থেকে ফেলে দেয়৷ মাটি থেকে মাথা নিচু করে ফোন নেওয়ার সময় তারা আমাকে আবার মারধর করে৷ এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নেয়৷ আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়ার পর আমাকে আরও বেশি মারা হয়৷'

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের নেতাকর্মীদের সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি স্পষ্ঠভাবে বলা আছে। তারপরেও কোনো সাংবাদিকের ওপর হামলা হলে সেটি দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।'

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

6h ago