ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনা

প্রাণ গেল বাবা-ছেলের, নিহত বেড়ে ৭

মাদারীপুরগামী একটি বাস বাখুন্ডা জোবায়দা-করিম জুটমিলের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহতী

ফরিদপুরে একটি বাস উল্টে সড়কের পাশের খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের বাখুন্ডা এলাকায় শরিফ জুট মিলের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনাকবলিত ফারাবি পরিবহনের ওই বাসটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে ফরিদপুর আসছিল। বাসটি দ্রুতগতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন-ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কোদালিয়া শহীদ নগর ইউনিয়নের শেখরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা জোয়ার সরদার (৬৫) ও তার ছেলে ইমান সরদার (৩৫), নগরকান্দার কাঠিয়া বড়গ্রামের বাসিন্দা রাজীব খানের স্ত্রী দীপা খান (৩৪), ফরিদপুর সদরেরচর চাঁদপুর গ্রামের বলরাম সরকারের স্ত্রী ভারতি সরকার (৪০), চরভদ্রাসন উপজেলার গাজীটেক গ্রামের বাসিন্দা খালেক চৌধুরীর ছেলে আলম চৌধুরী (৪০), ফরিদপুর শহরের গোয়ালচামট মহল্লার বাসিন্দা লতিফ ব্যাপারির স্ত্রী ফজিরন নেসা এবং লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আজিবরউদ্দিন (৪৩)।

দুর্ঘটনায় আহত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাঁধন সরকার (২৫) জানান, বাসটি তালমার মহিলা রোড থেকে ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে চলতে শুরু করে। যাত্রীরা বারবার বলার পরও বাসচালক কারো কথা শোনেনি।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন মাস্টার নজরুল ইসলাম বলেন, বাসটি পিছনের দিক তেকে দ্রুত গতিতে আরেকটি বাসকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে সড়কের পাশে একটি পিলারে ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশের পড়ে যায়।

ফরিদপুর সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশরাতজাহান বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে, বাসের গতি ৮০ কিলোমিটারের বেশি ছিল।

তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে জেলা বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সঙ্গে সভা করা হবে। অতিরিক্ত গতি কারণে এমন দুর্ঘটনা ও মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।

ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন জানান, গাড়িটি দ্রুত গতির ছিল, আবার আরেকটি যানকে ওভারটেকিং করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, নিহত প্রত্যেককে প্রশাসনের উদ্যোগে তাৎক্ষণিক ২৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পরবর্তীতে বিআরটিএর মাধ্যমে এককালীন টাকা দেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh races to expand air cargo capacity

In a first move to address the shortfall, Sylhet's Osmani International Airport is set to launch dedicated cargo operations today

6h ago