বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লাখ শিশুর জরুরি সহায়তা প্রয়োজন: ইউনিসেফ

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লাখ শিশুসহ ৪০ লাখ মানুষের জরুরিভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। এজন্য জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৫ কোটি ডলারের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
ছবি: ইউনিসেফ

বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ লাখ শিশুসহ ৪০ লাখ মানুষের জরুরিভিত্তিতে সহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক তহবিল ইউনিসেফ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৫ কোটি ডলারের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গতকাল সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সিলেট বিভাগে ৯০ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র জলমগ্ন হয়ে পড়েছে, যেখানে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। শিশুরা পানিতে ডুবে যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে আছে যা ইতোমধ্যেই দেশে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

এছাড়া ৩৬ হাজারের বেশি শিশু তাদের পরিবারের সঙ্গে জনাকীর্ণ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে, যা শিশুদের পড়াশোনাকে আরও বিঘ্নিত করছে, অন্যদিকে ১৮ মাস স্কুল বন্ধ থাকায় ইতোমধ্যেই তারা ক্ষতির শিকার।

ইউনিসেফ জানায়, পানি কমার আগে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'শিশুদের এই মুহূর্তে নিরাপদ খাবার পানি দরকার। পানিবাহিত মারাত্মক রোগ গুরুতর সমস্যাগুলোর অন্যতম।'

ইউনিসেফ ইতোমধ্যেই ৪ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠিয়েছে বলে জানায়। যা দিয়ে ৮০ হাজার পরিবারের এক সপ্তাহ চলবে। লাখ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ১০ হাজারের বেশি পানির পাত্র এবং নারী ও কিশোরীদের জন্য হাজার হাজার স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণসহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের জরুরি কার্যক্রমে আরও সহায়তা দিতেও কাজ করছে এবং জেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর জন্য জরুরি ওষুধও কিনছে ইউনিসেফ।

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, 'আটকে পড়া লাখ লাখ মানুষের জন্য আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শিশুরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে। শিশুদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে ইউনিসেফ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং অংশীদারদের সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।'

Comments