সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৬১ সেমি উপরে

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের বামন গ্রাম। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাসির উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উজানে ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলের পানি ভাটার দিকে ধেয়ে আসছে বলেই শিগগির পানি কমার সম্ভাবনা নেই। আগামী কয়েকদিন পানি আরও বাড়তে পারে।'

যমুনায় পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জের ফুলজর, ইছামতি, করতোয়া, বড়ালসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বেড়েছে। ফলে, জেলার চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বিভিন্ন এলাকায় দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই তাদের পাশে নেই।

ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার খুকনি ইউনিয়নের বামন গ্রামের আজিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদীর ভাঙনে এক সপ্তাহ আগেই ঘর ছাড়া হয়েছি। এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।'

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেখা যায়, পানির মধ্যে তারা নিদারুণ কষ্টে বসবাস করছেন। বাড়ির চারদিকে পানি, ঘরে খাবার নেই। হাতে কাজ নেই। তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছায়নি।

একই অবস্থা ওই গ্রামের প্রবীণ কৃষক আব্দুর রহমানের। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মানবেতর জীবন যাপন করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নেননি।'

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ত্রাণ বিভাগ ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, বন্যা কবলিত উপজেলায় ইউএনওদের কাছে ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে ১৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলায় ত্রাণ মজুত আছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে তালিকা নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Dengue cases see sharp rise in early July

Over 1,160 hospitalised in first 3 days, total cases cross 11,000

9h ago