সুনামগঞ্জে পরিবারের সঙ্গে ২ দিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কাওছার দেশে ফিরেছেন

বিমানবন্দরে নামার পর সিলেটগামী বাসে বাড়ির উদ্দেশে ছুটছেন সৌদি প্রবাসী কাওছার। ছবি: স্টার

সৌদি আরব থেকে মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন (৬২) গত শুক্রবার বিকেলে সুনামগঞ্জে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। তার আগের দিন থেকেই পুরো সুনামগঞ্জ সদর এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। শুক্রবার বিকেলের পর এখনো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি কাওছারের।

শনিবার বিকেলে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেই রাতের বাসে চেপে ছুটছেন বাড়ির পথে।

সিলেটগামী বাস থেকে দ্য ডেইলি স্টারকে কাওছার উদ্দীন বলেন, 'আমি ৭৪ এর বন্যা দেখছি। ২০০৪ সালেও বন্যা হয়েছিল। তবে এবারের মতো কখনো হয়নি। খুব চিন্তা হচ্ছে।'

জানালেন তার বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর থেকে সিলেট যাওয়ার পথে ৬ কিলোমিটার দূরে দিরাই চৌরাস্তার পাশে মদনপুর এলাকায়।

ওই এলাকায় শুক্রবারের আগেই ১৫ দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল বলে কাওছারকে জানিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা।

বললেন, 'বাড়িতে পৌঁছে হয়তো তেমন কিছুই করতে পারব না। পুরো এলাকাই পানিতে ডুবে গেছে।'

এদিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে।

কাওছার বলেন, 'সিলেট গিয়া অপেক্ষা করব। আমি বাড়ির অভিভাবক। আমাকে ওরা কাছে পেলে শক্তি পাবে।'

সিলেট বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তাকে ঢাকায় নামতে হয়েছে বলে জানালেন।

কাওছার জানান, তিনি সৌদি আরবের রিয়াদের ওয়াদি আল দাওয়াছির জেলায় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যান্টিন পরিচালনা করেন। কোরবানির ঈদের পূর্বনির্ধারিত ২ মাসের ছুটিতে দেশে এসেছেন।

কিন্তু বন্যার কারণে নানা আশঙ্কায় তিনি চিন্তিত। 

কাওছার বলেন, 'এলাকার সবার গোলায় ধান ছিল। পানি বেশি হলে তো সব নষ্ট হবে। বন্যা শেষে খাবার সংকট দেখা দেবে নিশ্চিত। সরকার আর কয়জনকেই বা খাওয়াবে।'

Comments

The Daily Star  | English

At least 10 incidents in 7 years: Why clashes between CU students and locals keep happening

Housing shortage, resentment, and administrative inaction blamed for repeated clashes

1h ago