রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে প্রভাব পড়বে না: রোসাটম

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজে বিলম্ব ঘটবে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকারী রুশ প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজে বিলম্ব ঘটবে না বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণকারী রুশ প্রতিষ্ঠান রোসাটম।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের দেশগুলো বেশ কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এরই মধ্যে রশিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক লেনদেনের ম্যাসেজিং সিস্টেম সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করার খবর পাওয়া গেছে। বিদেশে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের সক্ষমতায় আঘাত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, কানাডা ও ব্রিটেন সুইফট থেকে ব্যাংকগুলোকে বিচ্ছিন্ন করতে বলেছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তি কর্তৃপক্ষ (রোসাটম) আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ও এ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিতে কোনো বিঘ্ন ঘটার আভাস নেই।

২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সংসদে এ সংক্রান্ত আইন পাস হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার অ্যাটমিক করপোরেশনের সঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাটমিক এনার্জি কমিশন চুক্তি করে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট থেকে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

এই প্রকল্পের পরিচালক শওকত আকবর ২০২১ সালে বলেছিলেন, ২০২৪ সালে বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটটি চালু হওয়ার সময়সীমা থাকলেও ২০২৩ সালেই এটি চালু হতে পারে।

রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে রাশিয়া। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।

Comments