১৯ মাসে ১৫ দফা বাড়ল জেট ফুয়েলের দাম

আবারও বেড়েছে জেট ফুয়েলের দাম। তবে এবার শুধু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ফুয়েলের দাম আগের ১০৬ টাকা থাকলেও, অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ১১১ টাকা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড আজ রোববার জেট ফুয়েলের নতুন দাম নির্ধারণ করল।

এ নিয়ে গত ১৯ মাসে ১৫ বার জেট ফুয়েলের দাম বাড়াল পদ্মা অয়েল।

নতুন করে দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারলাইনসগুলোর দেশের ভেতরে ফ্লাইট পরিচালনা করার খরচ বেড়ে যাবে।

এতে দেশের বিভিন্ন রুটের ফ্লাইটের টিকেটের দাম বেড়ে যাবে বলে অ্যাভিয়েশন খাত সংশ্লিষ্টরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন।

গত মে মাসের মাঝামাঝি আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় উভয় ফ্লাইটের জন্য জেট ফুয়েলের দাম লিটার প্রতি ৬ টাকা বাড়িয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল পদ্মা অয়েল।

এপ্রিলে জেট ফুয়েলের দাম লিটার প্রতি ১৩ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।

২০২০ সালের ডিসেম্বরে জেট ফুয়েলের দাম লিটার প্রতি ছিল ৪৮ টাকা।

এ খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, একটি ফ্লাইট পরিচালনা খরচের ৪৬ শতাংশ পর্যন্ত জ্বালানিতে ব্যয় হয়।

অ্যাভিয়েশন অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এওএবি) মহাসচিব ও নভো এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিশ্ববাজারে জেট ফুয়েলের দাম স্থিতিশীল থাকা অবস্থায় বিপিসির জেট ফুয়েলের দাম বাড়ানোর পেছনে কোনো যুক্তি নেই।'

তিনি বলেন, 'বিপিসি একচেটিয়া ব্যবসা করার কারণে ইচ্ছামতো উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম বাড়াতে পারছে এবং আমাদের এ ক্ষেত্রে কিছু বলার নেই।'

'কোন যুক্তিতে বিপিসি শুধু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য জেট ফুয়েলের দাম বাড়াল,' প্রশ্ন করেন মফিজুর রহমান।

জানতে চাইলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, 'প্রতিনিয়ত জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধিসহ সামগ্রিকভাবেই ফ্লাইট পরিচালনা করতে গিয়ে এখন নানা ধরনের চাপের মধ্যে পড়তে হচ্ছে।'

'বিপিসি প্রতি মাসেই ফুয়েলের দাম বাড়ায়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা যদি টিকিটের দাম আনুপাতিকভাবে বাড়াই, তাহলে আমরা যাত্রী হারানোর ঝুঁকি থাকে।'

কামরুল বলেন, 'অন্যদিকে আমরা যদি ফুয়েলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ফ্লাইটের টিকেটের দাম না বাড়াই, তবে আমাদের দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।'

'অ্যাভিয়েশন ব্যবসা ব্যর্থ হলে পর্যটন ও হসপিটালিটি খাতও ব্যর্থ হয়ে পড়বে, যে খাতে প্রায় ৪০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

1h ago