‘২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়’

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, 'বাংলাদেশ খুবই কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।'

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, 'বাংলাদেশ খুবই কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণের প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।'

তিনি বলেছেন, 'আমরা কোথাও এমন কোনো প্রতিশ্রুতি দেইনি। এ লক্ষ্যমাত্রা আমাদের অর্জন করার জন্য নয়, উন্নত দেশের জন্য।'

আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টিগ্রেটেড এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার মাস্টার প্ল্যান (আইইপিএমপি) শীর্ষক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এবং জাপানের ইনস্টিটিউট অফ এনার্জি ইকোনমিক্স ২০৫০ সালের জন্য এ মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে।

জাইকা এ সময় তাদের পরিকল্পনা উপস্থাপন করে। পরিকল্পনার ৩টি পৃথক অংশের একটি ছিল রেফারেন্স নির্ভর, একটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের ও অপরটি শূন্য নিঃসরণের।

উপস্থাপনার সময় জাইকা জানায়, 'এটি একটি ভারসাম্যপূর্ণ পদ্ধতি। এর মাধ্যমে পরিবেশ ও সামাজিক বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রাখা হয়। এ পদ্ধতিতে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গৃহীত ব্যবস্থার সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ এবং কার্বন নিরপেক্ষতাকে সমন্বয় করা হয়।'

এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, '২০৪১ সালের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ ক্লিন সোর্স থেকে উৎপাদনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নয়।'

'পারমাণবিক উৎস ভবিষ্যতের ক্লিন এনার্জির মূল উৎস। পারমাণবিক উৎস থেকে উৎপাদনেও অনেক সময় সৌরশক্তির তুলনায় কম কার্বন নিঃসরণ হয়ে থাকে। এছাড়া নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে,' যোগ করেন তিনি।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী জাইকাকে প্রস্তাবিত মাস্টার প্ল্যান থেকে 'শূন্য নিঃসরণ' অংশ বাদ দিতে এবং 'বাংলাদেশের জন্য লাগসই প্রস্তাব' রাখার অনুরোধ করেন।

তিনি বলেন, 'আমরা আশা করি প্রধান দূষণকারী উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, তখন জ্বালানির দাম বাড়ছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালুর চেষ্টা করছে।'

'যখন ইউরোপ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ফিরে যাচ্ছে এবং মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে, তখন আপনি (জাপান) কীভাবে মাতারবাড়ির (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র) দ্বিতীয় ফেজের অর্থায়ন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন,' প্রশ্ন করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

2h ago