অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম ২ মুসলিম মন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২ জন মুসলিম নারী মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। তাদের একজন সিডনির পার্লামেন্ট মেম্বার এড হিউজিক এবং অপরজন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট মেম্বার ডক্টর অ্যান অ্যালি।
মন্ত্রিসভার নারী সদস্যদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ। ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ২ জন মুসলিম মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। একজন সিডনির এমপি এড হিউজিক এবং অন্যজন পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ান এমপি ডক্টর অ্যান অ্যালি।

ড. অ্যালি সংবাদ মাধ্যম এসবিএসকে বলেন, তিনি চান যাতে আরও নারীরা তার পথ অনুসরণ করতে পারেন।

এড হিউজিক ২০১০ সালে পার্লামেন্টে প্রথম মুসলিম এমপি নির্বাচিত হন। 

তিনি এসবিএসকে বলেন, দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে তার এই নিয়োগ একটি প্রতীকী মুহূর্ত। এই সরকার অস্ট্রেলিয়ার সব কমিউনিটির প্রতিনিধিত্বকে প্রতিফলিত করে এবং আমি মনে করি এটি গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার গভর্নর জেনারেল ৩০ মন্ত্রীকে শপথ পাঠ করান। এদের ১৩ জন নারী সদস্য আছেন।

ক্যানবেরায় সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেন, অস্ট্রেলীয় মন্ত্রিসভায় কাজ করা নারীদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বেশি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পেনি ওং, ক্লেয়ার ও'নিলকে হোম অ্যাফেয়ার্স এবং সাইবার সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ক্যাটি গ্যালাঘের অর্থ, পাবলিক সার্ভিস এবং নারী বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।

তানিয়া প্লিবারস পরিবেশ ও পানি বিষয়ক মন্ত্রী হয়েছেন।

লিন্ডা বার্নি প্রথম আদিবাসী নারী হিসেবে আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

মালানদিরি ম্যাককার্টি আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের সহকারী মন্ত্রী এবং আদিবাসী স্বাস্থ্যের সহকারী মন্ত্রী হয়েছেন।

আমান্ডা রিশওয়ার্থ সমাজসেবা বিষয়ক মন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন। অ্যান অ্যালি প্রারম্ভিক শৈশব শিক্ষা এবং যুবমন্ত্রী হিসেবে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন।

মন্ত্রীদের শপথের পর প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়াকে এমন একটি সরকার দিতে চাই, যা অস্ট্রেলিয়ার জনগণের সাহস, স্থিতিস্থাপকতা, দৃঢ় সংকল্প ও সহানুভূতির যোগ্য।

গত ২১ মে ফেডারেল নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর লেবার পার্টি নেতা এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছিলেন, আমার বিজয় আধুনিক অস্ট্রেলিয়ার বহুসংস্কৃতির অলৌকিক ঘটনা। আমাদের বহুসংস্কৃতির সমাজের মধ্যে আমরা বিশ্বের প্রাচীনতম জীবন্ত অবিচ্ছিন্ন সংস্কৃতিকে গণনা করি।

অস্ট্রেলিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ওই সময় মন্তব্য করেছিলেন, আলবানিজের মন্ত্রিসভায় এবং ফেডারেল প্রশাসনে অনেক নতুন চমক আসবে। মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণায় সেই চমক দেখানো হয়েছে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments