চারকোল রপ্তানি করে বছরে আয় ৪০ কোটি টাকা

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭ হাজার ৭১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চারকোল রপ্তানি করে বছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা আয় করছে।
পাটখড়ি পুড়িয়ে চারকোল তৈরি হচ্ছে। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ৭ হাজার ৭১ দশমিক ৪২ মেট্রিক টন চারকোল রপ্তানি করে বছরে প্রায় ৪০ কোটি টাকা আয় করছে।

ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাগুরাসহ দেশের বেশ কিছু জেলার প্রায় ৪০টি কারখানায় চারকোল উৎপাদন হচ্ছে।

আজ বুধবার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, চারকোল উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি আয় ও রাজস্ব বৃদ্ধি ছাড়াও প্রায় ২০ হাজার লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।

এতে আরও বলা হয়, পাটখড়ি থেকে চারকোল উৎপাদন পাটের বহুমুখী ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পাটকাঠিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় পোড়ানো, শীতলীকরণ ও সংকোচন করে চারকোল প্রস্তুত করা হয়। চারকোলে ৭৫ শতাংশ কার্বন থাকে।

পানি বিশুদ্ধিকরণ, আতশবাজি, জীবন রক্ষাকারী বিষ নিরোধক ট্যাবলেট, প্রসাধন সামগ্রী, ফটোকপিয়ার ও কম্পিউটারের কালি তৈরির কাঁচামাল হিসাবে চারকোল ব্যবহৃত হয় বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সরকার পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রপ্তানিমুখী চারকোল শিল্প প্রতিষ্ঠায় 'চারকোল নীতিমালা ২০২২' প্রণয়ন করেছে।

পাটখড়িসহ অন্য যে কোন উপকরণ দ্বারা চারকোল উৎপাদন ও সংশ্লিষ্ট শিল্পসমূহকে বিকশিত করার লক্ষ্যে এই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

Comments