চ্যালেঞ্জ থাকলেও বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব: আইসিএবি সভাপতি

দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) করপোরেট করের হার হ্রাস ও উৎসে কর কর্তন (টিডিএস)-সহ আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর সংস্কার ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে।
ছবি: স্টার

দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) করপোরেট করের হার হ্রাস ও উৎসে কর কর্তন (টিডিএস)-সহ আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর সংস্কার ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছে।

আজ শনিবার আইসিএবি আয়োজিত 'প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের ভাবনা' শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য জানান।
 
এ সময় তিনি সরকার ঘোষিত বাজেটকে সময়োপযোগী ও বাস্তবায়নযোগ্য উল্লেখ করে সরকারের প্রশংসা করেন।
  
তিনি বলেন, 'সরকার মহামারি পরবর্তী পরিস্থিতি ও বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে, যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক পদক্ষেপ।'
 
বাজেটের মোট আকার ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমকি ২ শতাংশের সমান। সরকার প্রবৃদ্ধি হিসেবে ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

'চ্যালেঞ্জ থাকলেও, এই যুগোপযোগী বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব বলে আমরা মনে করি', যোগ করেন তিনি।
 
তিনি আরও বলেন, 'রপ্তানিমুখী শিল্পের ওপর করের হার চালু করা এবং সবুজ শিল্পের ওপর এর মনোযোগ অবশ্যই পণ্য ও সেবা রপ্তানির বৈচিত্র্যকে উৎসাহিত করবে।' 

স্টার্ট-আপ ব্যবসায়ের জন্য পৃথক বিধান, প্রাক-প্রবর্তন ব্যয়ের পরিমার্জন, একত্রীকরণ ও গবেষণা-উন্নয়নের সংজ্ঞার পরিবর্তনের উদ্যেগগুলো নতুন প্রজন্মের ব্যবসা এবং সৃজনশীল উদ্যোগগুলোকে প্রেরণার ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে মনে করছে সংগঠনটি।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীক পরিষেবার ওপর ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট, মূসক রেয়াত গ্রহণের সময়সীমা ২ করমেয়াদ থেকে ৪ করমেয়াদ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার প্রস্তাব, জরিমানা ১০০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ এবং সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ কমানো, বন্ডেড ওয়ারহাউসে অপারেশন ইলেকট্রনিকভাবে সম্পাদন করা– এ বিষয়গুলো যুগোপযোগী এবং ব্যবসাবান্ধব।

আইসিএবি সভাপতি বলেন, 'ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) বাস্তবায়নে এনবিআর ও আইসিএবির যৌথ উদ্যোগে লক্ষ্যমাত্রার রাজস্ব অর্জনে সুবিধা হবে বলে আমরা মনে করি।

এ সময় সংগঠনটির সভাপতি বলেন, 'করের জিডিপি অনুপাত উন্নত করার জন্য করের নিট সম্প্রসারণ খুব প্রয়োজন। করের আওতা বাড়াতে সরকারকে আরও পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিএবি-র সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির, বর্তমান কাউন্সিল সদস্যসহ অন্যন্য সদস্যরা।

 

 

Comments