২০২০-২১ অর্থবছর

৬ খাতে ৩৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা কর ছাড়

ওই অর্থবছরে মোট প্রত্যক্ষ করপোরেট কর ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৮৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এর ৪০ শতাংশ পেয়েছে ক্ষুদ্রঋণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, হাইটেক শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরিপোশাক, আইটি বা সফটওয়্যার এবং পোল্ট্রি ও মৎস্য খাত।
করপোরেট কর

২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার যে পরিমাণ কর ছাড় দিয়েছে এর ৪০ শতাংশ পেয়েছে দেশের ছয় খাত। এসব ছাড় এসেছে কর ভর্তুকি, ডিসকাউন্ট, কর মওকুফ ও আয়কর কমানোর মাধ্যমে।

ওই অর্থবছরে মোট প্রত্যক্ষ করপোরেট কর ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৮৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। এর ৪০ শতাংশ পেয়েছে ক্ষুদ্রঋণ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, হাইটেক শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চল, তৈরিপোশাক, আইটি বা সফটওয়্যার এবং পোল্ট্রি ও মৎস্য খাত।

এই ছয় খাতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকা।

এর মধ্যে ক্ষুদ্রঋণ খাতে ১৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আট হাজার ৩৮০ কোটি টাকা এবং হাইটেক শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে চার হাজার ৬১২ কোটি টাকা রয়েছে।

এ ছাড়াও, তৈরিপোশাক খাতে তিন হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা, আইটি বা সফটওয়্যার খাতে এক হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা এবং পোল্ট্রি ও মৎস্য খাতে ১৪৩ কোটি টাকা কর ছাড় দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকাশিত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রত্যক্ষ কর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

২০২০-২১ অর্থবছরে সরকার মোট এক লাখ ২৫ হাজার ৮১৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এটি মোট দেশজ উৎপাদনের তিন দশমিক ৫৬ শতাংশ।

সরকারের মতে, প্রত্যক্ষ কর কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করে। এ ছাড়াও, এটি সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা ও শিল্প সহায়তা দিয়ে থাকে।

প্রত্যক্ষ করের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।

কর ব্যয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়—কর প্রণোদনা, কর ছাড় ও এর অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে নীতিনির্ধারকদের মতামত নেওয়া হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারকে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করা এবং কর ব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক লক্ষ্য ও আর্থিক দায়বদ্ধতার মধ্যে ভারসাম্য রাখা।

Comments