আত্মজীবনী লিখছেন মামুনুর রশীদ

একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মামুনুর রশীদ অভিনয় ও নাট্য-পরিচালনার পাশাপাশি নাট্যকার হিসেবেও সমাদৃত। দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকার জন্যে কলামও লিখছেন তিনি। এবার তিনি লিখছেন আত্মজীবনী।
মামুনুর রশীদ। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ

একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন মামুনুর রশীদ অভিনয় ও নাট্য-পরিচালনার পাশাপাশি নাট্যকার হিসেবেও সমাদৃত। দীর্ঘদিন ধরে পত্রিকার জন্যে কলামও লিখছেন তিনি। এবার তিনি লিখছেন আত্মজীবনী।

করোনাকাল আসার পর থেকেই শুরু মামুনুর রশীদ শুরু করেছেন আত্মজীবনীর লেখা। যেখানে শৈশব, কৈশোর, স্কুল-জীবন, কলেজ-জীবন, ঢাকায় পড়তে আসার জীবন, মুক্তিযুদ্ধ, নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া, আরণ্যক নাট্যদল প্রতিষ্ঠা করা— এসব বিষয় উঠে আসবে।

এ বিষয়ে মামুনুর রশীদ আজ দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘জীবনের অনেকটা বছর কাটিয়ে দিলাম। টেলিভিশন ও মঞ্চের জন্যে অনেক নাটক লিখেছি। পরিচালনা ও অভিনয় তো আছেই। কিন্তু, লেখালেখিটাও আমাকে দারুণ টানে। করোনাকালের শুরুতে বেশ সময় পাই। শুরু করি কাজটা।’

‘সত্যি কথা বলতে আত্মজীবনী লেখার তাগিদ বহু আগে থেকেই অনুভব করছিলাম। কিন্তু, সময় পাচ্ছিলাম না। এখন তো ঘরেই কাটে অনেক সময়। তাই কাজটি যত্ন সহকারে শুরু করে দিয়েছি’, বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, মামুনুর রশীদকে স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের নাটকের পথিকৃত বলা হয়ে থাকে। ১৯৬৭ সালে থেকে তিনি টেলিভিশনের জন্যে নাটক লেখা শুরু করেন।

১৯৭২ সালে তার লেখা নাটক পশ্চিমের সিঁড়ি ঢাকায় মঞ্চায়ন হয়। একই বছর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন আরণ্যক নাট্যদল। তার নাটকের দল আরণ্যক ঢাকার মঞ্চের প্রথম সারির নাট্যদলগুলোর একটি।

তার লেখা উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটকের মধ্যে রয়েছে— ইবলিশ, মানুষ, লেবেদেফ, গিনিপিগ, ওরা কদম আলী, সংক্রান্তি, কহে ফেসবুক, জয় জয়ন্তী ইত্যাদি।

টেলিভিশনের জন্য প্রথম প্যাকেজ ধারাবাহিক নাটক শিল্পীর নাট্যকার ও পরিচালকও তিনি। সম্প্রতি তার অভিনীত ও মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘লেডিস এন্ড জেন্টলম্যান’ ওয়েব সিরিজটি বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এ ছাড়া, এবারের ঈদের জন্যে ‘বাবা তোমাকে ভালোবাসি’সহ আরও কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন প্রখ্যাত এই অভিনেতা।

নাটকের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago