আমি ছিলাম এতিম শিল্পী: দীপা খন্দকার

দীপা খন্দকার। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

অভিনেত্রী দীপা খন্দকারের অভিনয় জীবন প্রায় ২২ বছরের। একটা সময় বিটিভির সাপ্তাহিক নাটকের নিয়মিত শিল্পী ছিলেন তিনি।

দীর্ঘ ক্যারিয়ার, সিনেমায় অভিনয়, পাওয়া না পাওয়াসহ নানান বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

দীপা খন্দকার। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

১৯৯৯ থেকে অভিনয় করছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মাত্র ২টি সিনেমা করেছেন। এতো কম কেন?

শুরু থেকেই কমার্শিয়াল সিনেমায় আমার ও আমার পরিবারের অনীহা ছিল। নাটকের প্রতি ঝোঁক বেশি ছিল। তাছাড়া যে ধরণের গল্পের সিনেমায় ওই সময় কাজ করতে চাইতাম, সে ধরনের অফার পেতাম না। এখন যেমন টেলিভিশন থেকে অনেক পরিচালক সিনেমা করছেন। তখন এটা ছিল না।

প্রথম 'ভাইজান এলো রে' সিনেমায় অভিনয় করেছি। এটা ভারতীয় বাংলা সিনেমা। সম্প্রতি সাইফুল ইসলাম মান্নুর পরিচালনায় 'পায়ের ছাপ' সিনেমার শুটিং শেষ করেছি। সংগ্রামী নারীদের গল্প উঠে এসেছে এতে।

দীপা খন্দকার। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

প্রত্যেক শিল্পীরই সংগ্রামের গল্প থাকে। আপনাকে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে?

খুব বেশি সংগ্রাম করতে হয়নি আমাকে। এটিএন বাংলায় ১৯৯৯ সালে কাজী শাহিদুল ইসলাম পরিচালিত 'কাকতাড়ুয়া' নাটকটি প্রচারিত হয়েছিল। ওই নাটকটি একসময় চ্যানেল আইও এবং ভারতীয় একটি চ্যানেলেও প্রচার হয়েছিল। সেই সময় আফজাল হোসেন, তৌকীর আহমেদ, টনি ডায়েস, আজিজুল হাকিম আমাকে বেশ সহযোগিতা করেছেন।

অভিনেত্রী হওয়ার ইচ্ছা কি আগে থেকেই ছিল?

না, হঠাৎ করেই অভিনয়ে আসা। অভিনয় করেছি শখে। পরবর্তীতে শিখতে শিখতে অভিনেত্রী হয়েছি। ২ দশকেরও বেশি সময়ের পথচলা। অনেক চরিত্র করেছি। এতো কাজ না করলেও চলত। একটা সময়ে মাসে ৩০ দিনই শুটিং করেছি। মনে হয় সময়ের প্রয়োজনে সব করেছি।

দীপা খন্দকার। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ/স্টার

নাটক-সিনেমায় কাজের মান কী বেড়েছে?

কাজের মান বেড়েছে। যথেষ্ঠ মান সম্পন্ন কাজ হচ্ছে। আমাদের সিনেমা বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছে, আমাদের সিনেমা কান চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছে, কানাডার চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছে। এসব তো ভালো কাজেরই অংশ, সফলতার অংশ। অনেকের কাজ দেখে মুগ্ধ হই। অনেক মেধাবী পরিচালক আছেন, গল্পকার আছেন।

অনেক পরিচালক নির্দিষ্ট বলয়ের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করেন। আপনি কি তেমন কোনো বলয়ে ছিলেন?

না, আমি ছিলাম এতিম শিল্পী। পরিচিতি কারো বলয়ে ছিলাম না। অনেকেই  এভাবে কাজ করেছেন কিন্তু আমি করিনি। যে কারণে কারো হাত ধরে বেড়ে উঠিনি, কারো ছায়ায় বেড়ে উঠিনি। নিজের চেষ্টা ও সততা দিয়ে এসেছি। আমার সৌভাগ্য হচ্ছে, প্রচুর ব্যতিক্রমী কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমাকে নিয়ে সেভাবে মাতামতি হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties with phantom addresses queue for EC nod

In its application for registration with the Election Commission, Janatar Bangladesh Party has said its central office is located on the 12th floor of Darus Salam Arcade near the capital’s Paltan intersection.

1d ago