ঈদে তিশার কোনো নাটক নেই

সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। টেলিভিশন নাটক ও সিনেমা দুটিই করছেন পাশাপাশি। অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
নুসরাত ইমরোজ তিশা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। টেলিভিশন নাটক ও সিনেমা দুটিই করছেন পাশাপাশি। অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

তিশা সারাবছর ধরে টিভি নাটকই বেশি করেন। বিশেষ করে ঈদের সময়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করেন। কিন্তু এই প্রথম ঈদের নাটকের জন্য কোনো ব্যস্ততা নেই তিশার।

ঈদের জন্য তিশা একটি নাটকও করতে পারেননি। এবারের ঈদে তিশা অভিনীত একটি নাটকও প্রচার হবে না। তার ক্যারিয়ারে এমন ঘটনা প্রথম ঘটল।

বেশ কিছু দিন ধরে ঘরবন্দি সময় কাটছে তিশার। পায়ের ইনজুরির জন্য ঘরে কাটছে সময়। যার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। অনেক অফার পাওয়ার পরও কোনো কাজ করেননি।

সে কারণে এবার ঈদে তিশা নাটকবিহীন থাকছেন। তিশা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘নাটকবিহীন ঈদ আমার ক্যারিয়ারে প্রথম ঘটল। একে তো লকডাউন ছিল, তার ওপর পায়ে ইনজুরি। দর্শকরা আমাকে যেমন মিস করবেন, আমিও তাদের মিস করব।’

‘সবার আগে সুস্থতা দরকার। বেঁচে থাকলে কাজ করা যাবে’, বলেন তিশা।

অবশ্য দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে এবারই প্রথমবার উপস্থাপনায় নাম লিখিয়েছেন তিশা। দ্য বক্স নামে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেছেন।

দ্য বক্স অনুষ্ঠানে বিভিন্ন তারকারা অতিথি হয়ে আসবেন। তিশা বলেন, ‘নাটকে না পেলেও উপস্থাপনায় পাবেন দর্শকরা। নতুন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা এবং নতুন ধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে।’

ঈদ তিশার কাছে বরাবরই আনন্দের। ছোটবেলার ঈদ ছিল বেশি আনন্দের।

ঈদের পরিকল্পনার কথা জানতে চাইলে তিশা বলেন, ‘করোনাকাল বলে সবার যেমন ঘরবন্দি থাকতে হবে, আমিও তাই করব। ইচ্ছে থাকার পরও কোথাও যাওয়া হবে না। তাই বিশেষ পরিকল্পনা নেই।’

জনপ্রিয় অভিনেত্রী তিশার রয়েছে অসংখ্য ভক্ত। ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভক্তদের প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, করোনাকাল চলছে। প্লিজ খুব প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে কেউ বের হবেন না। আগে জীবন। বেঁচে থাকলে অনেক কিছু করা যাবে। আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh’s ever-neglected working class

Even after half a century of independence, most of the working people in Bangladesh are far from enjoying fundamental workers' rights.

8h ago