মনপুরা টু কখনো হবে না: গিয়াস উদ্দিন সেলিম

গিয়াস উদ্দিন সেলিম। ছবি: সংগৃহীত

মনপুরা সিনেমা দিয়ে বাজিমাত করা চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম। তার পরের সিনেমাটি ছিল স্বপ্নজাল। মুক্তির অপেক্ষায় আছে পাপ পুণ্য সিনেমা। বর্তমানে গুণীন সিনেমার শুটিং করছেন তিনি।

সিনেমা পরিচালনার আগে নাট্যকার হিসেবে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম। প্রথম লেখা নাটক পৌনঃপুনিক দিয়ে আলোচনায় আসেন। আর, প্রথম পরিচালিত নাটক বিপ্রতীপ যথেষ্ট জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।

আধিয়ার সিনেমার কাহিনীকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর মনপুরা সিনেমার পরিচালক হিসেবে দ্বিতীয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

নতুন সিনেমাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন চলচ্চিত্র পরিচালক গিয়াস উদ্দিন সেলিম।

মনপুরা ও স্বপ্নজাল মূলত প্রেমের সিনেমা ছিল। নতুন সিনেমার গল্প কী নিয়ে?

বিখ্যাত লেখক হাসান আজিজুল হকের গল্প নিয়ে গুণীন সিনেমার কাহিনী। মূলত গ্রাম বাংলার গল্প উঠে আসবে গুণীন সিনেমায়। পুরোপুরি গ্রামের গল্প। একজন চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে আমার সিনেমা দিয়ে মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করছি। সর্বাত্মক চেষ্টা করছি গুণীন যেন সব মহলের দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এটি মাটির গল্প। আমার বিশ্বাস দর্শকরা গুণীন দেখবেন।

একজন নির্মাতা হিসেবে আপনার কাছে দর্শকদের প্রত্যাশা সবসময় বেশি থাকার কারণ কী?

হতে পারে আমার প্রথম সিনেমা মনপুরা সুপার-ডুপার হিট করেছিল। মনপুরা মানুষ দেখেছেন। মাসের পর মাস প্রেক্ষাগৃহে চলেছে। এজন্য প্রত্যাশাটা বেশি হতে পারে। সিনেমার বাইরে নাট্য পরিচালক হিসেবেও আমার আলাদা দর্শক আছে। আমার কাজের সঙ্গে তাদের পরিচয় আছে। এজন্য হয়তো প্রত্যাশার জায়গাটাও বেশি।

নতুন সিনেমার শুটিং কবে নাগাদ শেষ হচ্ছে ?

এই মুহূর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুটিং করছি। এখানকার শুটিং শেষ করে মানিকগঞ্জে শুটিং করব। এ মাসে শুটিং শেষ করার পরিকল্পনা করেছি।

ফিল্ম পলিটিকস বলে একটি কথা চালু আছে এদেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য?

যারা সত্যিকারের সিনেমার মানুষ তাদের মধ্যে নোংরা রাজনীতি নেই। এ সবের মধ্যে আমি নেই। সিনেমা শিল্পকে যারা বোঝেন, সিনেমাকে যারা ভালোবাসেন, তারা শুধু এই শিল্প নিয়েই কাজ করেন, ভাবেন। আমি চাইব সিনেমার জন্য ভাবুন। সিনেমার জন্য কাজ করুন।

এখনো অনেকে বলে থাকেন মনপুরা টু নির্মাণ হবে কি না? আপনি কি বলবেন?

না। মনপুরা টু কখনো হবে না। মনপুরা একবারই করেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এত ভালোবাসা এক জীবনে কম মানুষই পায়। যেখানেই যাই মনপুরার কথা শুনি। মনপুরার দর্শক এখনো আছে। স্বপ্নজালের কথাও বলেন। একজন পরিচালক হিসেবে এটা আমার জন্য বড় প্রাপ্তি। কিন্তু জোর দিয়ে বলতে পারি, মনপুরা টু আর হবে না। অন্য সিনেমা হবে।

মুক্তির অপেক্ষায় থাকা পাপ পুণ্য সিনেমা সম্পর্কে জানতে চাই?

পাপ পুণ্য এখনও মুক্তির অপেক্ষায় আছে। করোনা পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ার কারণে সময়মতো মুক্তি দিতে পারিনি। গল্প বলতে চাই না। চমক হিসেবে থাকুক। এটুকু বলতে পারি, পাপপুণ্য দর্শকদের হলমুখী করবে। নতুন কিছু দেবে। 

চঞ্চল চৌধুরীকে নতুনভাবে দেখা যাবে। সিয়াম আহমেদকেও নতুনভাবে দেখা যাবে। আফসানা মিমি, মামুনুর রশীদ, চুমকিসহ সবাই যার যার দিক থেকে ভালো করেছেন।

একটি সিনেমার বড় দিক কোনটি?

গল্প। সিনেমার প্রধান হাতিয়ার গল্প। এদেশের মানুষ গল্প পছন্দ করেন। গল্প শক্তিশালী হলে সেই সিনেমা দর্শকদের কখনো বিমুখ করে না। গল্পের পর আসে অভিনয়। তারপর অন্যান্য বিষয় তো আছেই। কিন্তু গল্প যদি দুর্বল হয় তাহলে হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

18h ago