সবসময় নিজেকে ভাঙতে চাই: শাহেদ আলী

গৌতম ঘোষের ‘মনের মানুষ’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শাহেদ আলী। ‘দৌড়’ ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। আগামী ১০ জুন মুক্তি পাবে তার অভিনীত নতুন ওয়েব ফিল্ম ‘রিফিউজি’। এ ছাড়াও, তার ‘অমানুষ’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগে ১৭ জুন। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা জানান শাহেদ আলী।
শাহেদ আলী। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

গৌতম ঘোষের 'মনের মানুষ' সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন শাহেদ আলী। 'দৌড়' ওয়েব ফিল্মে অভিনয় করে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। আগামী ১০ জুন মুক্তি পাবে তার অভিনীত নতুন ওয়েব ফিল্ম 'রিফিউজি'। এ ছাড়াও, তার 'অমানুষ' সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগে ১৭ জুন। সম্প্রতি দ্য ডেইলি স্টারের মুখোমুখি হয়ে এসব কথা জানান শাহেদ আলী।

সম্প্রতি 'দৌড়' ওয়েব ফিল্মে আপনাকে নতুন লুকে দেখা গেছে, এই চরিত্রটি কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

'দৌড়'র জন্য ৪ মাস অন্য কোথাও অভিনয় করিনি। আমার চরিত্রে নাম বুলেট রাজিব। সে পুরনো ঢাকার সিরিয়াল কিলার। চরিত্রটি খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। একই লুকে দীর্ঘ সময় থাকতে হয়েছে। অবশ্য এটি প্রচারের পর দেশ-বিদেশ অনেক সাড়া পয়েছি। সবচেয়ে খুশি হয়েছি আমার ছেলের মন্তব্যে। ও সাধারণত অভিনয় নিয়ে কিছু না বললেও দৌড় দেখে মন্তব্য করেছে। ও বলেছে, 'বাবা ওই চরিত্রটিতে তোমাকে সত্যি সত্যি বুলেট রাজিব মনে হয়েছে'।

'মহানগর'-এ অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

মহানগর ২ বাংলাতে দারুণ সাড়া ফেলেছিল। এখনো মহানগর নিয়ে আলোচনা হয়, আর এটা আমার খুবই ভালো লাগে। মহানগরে যাকে নিয়ে মূল ঘটনা শুরু হয় সেই চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। এখানে কাজ করে আমার অভিনয় জীবনে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।

আপনি কি ওয়েব ফিল্মে বেশি সময় দিচ্ছেন?

একজন অভিনেতার কাজই অভিনয় করা। আমি সব মাধ্যমে অভিনয় করছি। তবে, ওয়েব ফিল্মের প্রস্তাব বেশি আসছে। এটাকে আমি ইতিবাচক হিসেবে দেখি। ১০ জুন রিফিউজি রিলিজ পাবে। এখানে বিহারির ভূমিকায় অভিনয় করেছি। এটি পরিচালনা করেছেন ইমতিয়াজ সজীব। সদরঘাটের টাইগার নামের একটি ওয়েবে অভিনয় করেছি। এটি পরিচালনা করেছেন সুমন আনোয়ার। এখানে পলিটিক্যাল লিডারের চরিত্র করেছি। কাইজার মুক্তি পাবে সামনে। এখানে অভিনয় করেছি পুলিশ কমিশারের চরিত্রে। আরও কয়েকটি ওয়েব ফিল্ম নিয়ে কথা চলছে। এছাড়া, টেলিভিশন নাটক ও সিনেমাও করছি।

আপনি মূলত কোন ধরণের চরিত্রে অভিনয় করতে চান?

যে কোনো চরিত্রে অভিনয় করতে চাই। এভাবেই পথ চলছি। একটি চরিত্রে অভিনয় করি আর ভাবি সামনের কাজটি কীভাবে আরও ভালো করতে পারব। সবসময় নিজেকে ভাঙতে চাই। কোনো চরিত্রে অভিনয় করার সময় আমি কে তা ভাবি না। আমি চরিত্র হয়ে ওঠার চেষ্টা করি।

এত ব্যস্ততার মাঝেও থিয়েটারে কি নিয়মিত সময় দিচ্ছেন?

হ্যাঁ। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রাচ্যনাটের সঙ্গে আছি। মঞ্চে অভিনয় করি দায়বদ্ধতা থেকে। যখন আমার পাশে কেউ ছিল না তখন মঞ্চ  ছিল। তাই যতদিন শরীর-মন প্রাণ আছে ততদিন থিয়েটার করব।

Comments