‘হাওয়া’য় শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সারাজীবন মনে থাকবে: চঞ্চল চৌধুরী

cnycl_cedhurii.jpg
চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

'মনপুরা' সিনেমা দিয়ে বাজিমাত করেন চঞ্চল চৌধুরী। 'আয়নাবাজি' দিয়ে জনপ্রিয়তার ঢেউ ছড়িয়ে দেন সর্বত্র। এরপর 'দেবী' তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায় অভিনেতা হিসেবে। ভারতীয় পরিচালক গৌতম ঘোষের 'মনের মানুষ' তাকে এনে দেয় আরও খ্যাতি। সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা 'পাপ পূণ্য'।  আগামীকাল (২৯ জুলাই) মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত সিনেমা 'হাওয়া'।

হাওয়া সিনেমা ও অভিনয় জীবনের কিছু বিষয় নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন চঞ্চল চৌধুরী

cnycl_cedhurii2.jpg
চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: শেখ মেহেদি মোর্শেদ

দ্য ডেইলি স্টার: সিনেমাপাড়ায় একটি কথা চালু আছে—আপনার অভিনীত কোনো সিনেমা ফ্লপ করেনি?

চঞ্চল চৌধুরী: এজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার দর্শকদের কাছে। যারা আমাকে ভালোবেসে আমার অভিনীত সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখেন। এরপর প্রচণ্ডভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার পরিচালক, প্রযোজক, সহশিল্পী ও ইউনিটের সবার প্রতি। সেইসঙ্গে আমার মা-বাবা, পরিবার ও সৃষ্টিকর্তার প্রতিও। এদিক থেকে মনে করি আমি সত্যিই ভাগ্যবান অভিনেতা।

cnycl_cedhurii2.jpg
‘আয়নাবাজি’ সিনেমার দৃশ্যে চঞ্চল চৌধুরী।

ডেইলি স্টার: কয়েকদিন ধরে সারাদেশে 'হাওয়া' সিনেমার সুবাতাস বইছে। এই সিনেমার অভিনেতা হিসেবে এটাকে কীভাবে দেখছেন?

চঞ্চল চৌধুরী: বাংলাদেশের সিনেমার জন্য এটি খুব ইতিবাচক দিক। আমাদের সিনেমার জন্য বিশাল সুখবর এটি। 'হাওয়া' সিনেমার সুবাতাস আমার গায়েও লেগেছে। অন্য সবার মতো আমিও 'হাওয়া'র ঝড়ে ভাসছি। মেজবাউর রহমান সুমন অতি যত্ন নিয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন। হাওয়া দর্শকদের হাওয়ায় ভাসাবে। হাওয়া সিনেমার সুবাতাস বইছে সারাদেশে। এটি অবশ্যই আনন্দের সংবাদ, গোটা সিনেমা শিল্পের জন্যই।

ডেইলি স্টার: দীর্ঘদিন পর কোনো সিনেমার টিকিট মুক্তির আগেই বিক্রি হয়ে গেছে? বিষয়টি নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া?

চঞ্চল চৌধুরী: খবরটি আমিও শুনেছি। হাওয়া সিনেমার টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে গেছে—এর চেয়ে খুশির খবর আর কী হতে পারে? চারদিক থেকে এই সুখবরটি পাচ্ছি। আমি বলব হাওয়া মুক্তির আগেই গান দিয়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি গত কয়েকদিন। অসম্ভব রকমের সাড়া পেয়েছি। যারা অগ্রিম টিকিট কিনেছেন তাদের প্রতি ভালোবাসা। 'হাওয়া' দিয়ে বাংলাদেশের সিনেমায় প্রাণ ফিরে আসুক।

cnycl_cedhurii2.jpg
চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: স্টার

ডেইলি স্টার: সমুদ্রে টানা শুটিং করার অভিজ্ঞতা জানতে চাই?

চঞ্চল চৌধুরী: পুরো টিম নিয়ে পরিচালক সমুদ্রে শুটিং করেছেন। গভীর সমুদ্রে শুটিং করেছি আমরা। বেশিরভাগ সময় নেটওয়ার্কও পাওয়া যায়নি। আমার জীবনে টানা এতগুলো দিন কখনোই সমুদ্রে থাকিনি। প্রবল ঢেউয়ের মধ্যে সমুদ্রে শুটিং করেছি। একবার তো ঝড় শুরু হলো। খুব কঠিন অবস্থা। তার মধ্যেই শুটিং করেছি। শুটিং করতে করতে সেন্টমার্টিনে এসেছি। তারপর তুমুল বৃষ্টিতে সেন্টমার্টিনে হোটেলে অবস্থান করি।  ঝুঁকি বলি কিংবা চ্যালেঞ্জ, সবই ছিল। শিল্পী জীবনে হাওয়ার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা সারাজীবন মনে থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English

Rohingya influx: 8 years on, repatriation still elusive

Since the repatriation deal was signed with Myanmar in November 2017, Bangladesh tried but failed to send Rohingyas back.

10h ago