কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহে আইসল্যান্ডে বিশ্বের বৃহত্তম প্লান্ট চালু

বাতাস থেকে সরাসরি কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে সেটাকে শিলায় রূপান্তরিক করে মাটির নিচে চাপা দেওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে আইসল্যান্ডে। গত বুধবার থেকে সেটা কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে প্লান্টটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
ছবি: রয়টার্স

বাতাস থেকে সরাসরি কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে সেটাকে শিলায় রূপান্তরিক করে মাটির নিচে চাপা দেওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে আইসল্যান্ডে। গত বুধবার থেকে সেটা কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে প্লান্টটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি।
     
প্লান্টটির নাম দেওয়া হয়েছে 'ওরকা'। আইসল্যান্ডের ভাষায় যার অর্থ 'শক্তি'। প্লান্টটি চারটি ইউনিটে বিভক্ত। যার প্রতিটি দুটি করে ধাতব বাক্স দিয়ে তৈরি। দেখতে অনেকটা জাহাজের পণ্যবাহী কন্টেইনারের মতো।  

সুইজারল্যান্ডের ক্লাইমওয়ার্কস ও আইসল্যান্ডের কার্বফিক্স যৌথভাবে এটি নির্মাণ করেছে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্লান্টটি তার সক্ষমতা নিয়ে কাজ শুরু করলে বছরে চার হাজার টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বাতাস থেকে শোষণ করবে। 


 
যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির (ইপিএ) মতে, সেটি প্রায় ৮৭০টি গাড়ি থেকে নির্গত কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের সমান।

কার্বন ডাই-অক্সাইড সংগ্রহের জন্য প্লান্টটি একটি ফ্যান ব্যবহার করে কালেকটরের মাধ্যমে বাতাস টানবে। যার মধ্যে একটি ফিল্টার সংযুক্ত রয়েছে।  

ফিল্টারটি একবার কার্বন ডাই-অক্সাইডে পূর্ণ হয়ে গেলে সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়িয়ে অত্যন্ত ঘন অবস্থায় গ্যাস সংগ্রহ করা হবে। এরপর সেই কার্বন ডাই-অক্সাইড পানির সঙ্গে মিশিয়ে মাটির এক হাজার মিটার গভীরে ব্যাসল্ট রকের নিচে চাপা দেওয়া হবে। 

এই পদ্ধতির প্রবক্তারা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই প্রযুক্তি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে। 

তবে, সমালোচকদের যুক্তি এটা অত্যন্ত ব্যয়বহুল এবং পুরোদমে কাজ করতে কয়েক দশক লেগে যেতে পারে। 
 

Comments

The Daily Star  | English

Sundarbans fire doused after nearly three days: forest official

Firefighters today doused the fire that broke out at Chandpai range of East Sundarbans in Bagerhat on May 3

1h ago