পরিবার চায়নি আমি অভিনয় করি: আমির খান

বলিউড ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’ এ সুপারস্টার আমির খানকে একজন তরুণ উদ্ভাবনী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখেছেন ভক্তরা। ব্যক্তিগত ইচ্ছা আর পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষার দ্বন্দ্ব থ্রি ইডিয়টসের উপজীব্য। আমির খানের নিজের পরিবারও এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ছিল না। শুক্রবার মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালের সাইড লাইনের আলোচনায় জানালেন, পরিবারের ইচ্ছা মতো চললে আজ হয়তো তিনি অভিনেতা নয় বরং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতেন।
আমির খান
আমির খান

বলিউড ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’ এ সুপারস্টার আমির খানকে একজন তরুণ উদ্ভাবনী ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখেছেন ভক্তরা। ব্যক্তিগত ইচ্ছা আর পরিবারের আশা-আকাঙ্ক্ষার দ্বন্দ্ব থ্রি ইডিয়টসের উপজীব্য। আমির খানের নিজের পরিবারও এ ক্ষেত্রে ভিন্ন ছিল না। শুক্রবার মুম্বাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালের সাইড লাইনের আলোচনায় জানালেন, পরিবারের ইচ্ছা মতো চললে আজ হয়তো তিনি অভিনেতা নয় বরং চার্টার্ড একাউন্টেন্ট, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হতেন।

চলচ্চিত্র পরিবারের সন্তান আমির। বাবা তাহির হুসেইন পরিচালক ছিলেন। প্রযোজক নাসির হুসেইন তাঁর চাচা। এর পরও শুধুমাত্র ক্যারিয়ারের অনিশ্চয়তার কথা ভেবে আমিরের বাবা-মা চায়নি ছেলে বলিউডে কাজ করুক।

“তখন প্রায় সবাই মনে করতো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কাজ করার জন্য ভালো জায়গা না। আমার নিজের পরিবার, নাসির সাহেব, বাবা সবাই বলতেন ফিল্মে যেয়ো না। তারা দুজনেই সিনেমা তৈরি করতেন অথচ আমাকে সেখানে ক্যারিয়ার না গড়ার পরামর্শ দিতেন। চাচাজান, আব্বা ও আম্মি মনে করতেন এটা খুব অনিশ্চিত একটা পেশা।”

“আপনি এখন এখানে আছেন আবার এক মিনিটেই আপনি আপনার অবস্থান হারিয়ে ফেলতে পারেন। কোন নিশ্চয়তা বা নিরাপত্তা নেই। তাদের ইচ্ছা ছিল আমরা এমন পেশায় যাই যেখানে নিশ্চয়তা রয়েছে। ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার বা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট। আমি হয়তো এসব কিছু হতে পারতাম। তারা চাইতো আমি ভালো কোন প্রফেশনাল কোর্স করি,” বলেন আমির।

পরিবারের অনিচ্ছার পরও না জানিয়েই ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় ভর্তি হয়ে যান আমির খান। এর পর বাকিটা ইতিহাস।

 

Click here to read the English version of this news

Comments