বাঁচানো গেলনা হিমালয়ের বিরল শকুনটিকে

মঙ্গলবার রাতে বিরল প্রজাতির এই শকুনটি মারা গেছে। ছবি: স্টার

শ্রীমঙ্গলের লাউয়াছড়া বনের পাশের গ্রাম জালালিয়ার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার করা বিরল প্রজাতির শকুনটি মারা গেছে। মঙ্গলবার রাতে কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া ওয়াইল্ডলাইফ রেসকিউ সেন্টারে সেটি মারা যায়। হিমালয় পর্বতমালায় এই প্রজাতির শকুন দেখতে পাওয়া যায়।

মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সহকারী সংরক্ষক তবিবুর রহমান বলেন, “রবিবার গ্রামবাসীর হাতে আটক হওয়া শকুনটি ডানায় আঘাত পেয়েছিল। লাউয়াছড়া সেন্টারে এর চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে শেষ পর্যন্ত একে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।”

তিনি জানান, “হিমালয়ের শকুনদের ওজন সাধারণত ১৫-২০ কেজি ও ডানার দৈর্ঘ্য ৬-৭ ফুট হয়। তবে উদ্ধার করা শকুনটির ওজন মাত্র ৬ কেজি ছিলো। দীর্ঘ সময় পর্যাপ্ত খাবার না পাওয়ায় এর ওজন কমে যায়।”

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সিলেট চ্যাপ্টারের আবদুল করিম কিম বলেন, “লোকালয়ে বন্যপ্রাণীর উপস্থিতি তাদের আবাসস্থল সংকটের দিকে নির্দেশ করে। খাবার খুঁজতে খুঁজতে পাখিটি হয়তো এদিকে চলে এসেছিল। আমাদের উচিত বনের বাস্তুসংস্থানের দিকে নজর দেওয়া।”

বন্যপ্রাণী গবেষক তানিয়া খান বলেন, “হিমালয়ের শকুন দেশে তেমন একটা দেখা যায় না এদের। হিমালয় পর্বতমালা, ভুটান, তিব্বত, চীন ও উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলে এদের বসবাস। তবে ডানায় ভর করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে পারে বিরল প্রজাতির এই পাখি।”

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

8h ago