বাংলাদেশ থেকে ডাক্তার নিতে চায় সৌদি আরব

বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার ডাক্তার নিতে চায় সৌদি আরব। ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে সব রকম স্বাস্থ্য কর্মী নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।

বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক হাজার ডাক্তার নিতে চায় সৌদি আরব। ১০ বছর আগে বাংলাদেশ থেকে সব রকম স্বাস্থ্য কর্মী নেয়া বন্ধ করে দিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি।

রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, “গত ২১ নভেম্বর সরকারিভাবে সৌদি আরব আমাদের সাথে যোগাযোগ করে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁরা বাংলাদেশ থেকে কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিতে চায়।”

সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গোলাম মসি গতকাল টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের জন্য এটা ইতিবাচক একটা খবর।” দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে খবরটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সর্বশেষ সৌদি আরব সফর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ককে জোরদার করেছে। এর ফল হিসাবে দেশটির চাকরির বাজারে বাংলাদেশিদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।

রিয়াদ থেকে একজন দূতাবাস কর্মকর্তা জানান, ডাক্তারদের বেতন সাড়ে তিন লাখ থেকে সাত লাখ টাকার মধ্যে হবে। এছাড়া যাতায়াতসহ অন্য কোন খরচ বহন করতে হবে না তাঁদের। সরকারি রিক্রুটিং এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেড এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির কাজটি করবে।

গোলাম মসি বলেন, রিক্রুটিং নিয়ে অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ থেকে স্বাস্থ্যকর্মী নেয়ায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সৌদি আরব। তিনি বলে, “আমরা যদি সবকিছু সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তবে সৌদি আরব আরও ডাক্তার নিতে পারে।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের সরকারি সেক্টরে কনসালটেন্ট ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের স্বল্পতা রয়েছে এটা সত্য। কিন্তু বেসরকারি সেক্টরে অনেক ডাক্তার রয়েছেন যারা এর সুফল নিতে পারেন।

নিশ্চিতভাবেই এটা তাঁদের জন্য একটি সুখবর, বলেন তিনি।

গত ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ কমতে থাকে। ১৫ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসীর কর্মস্থল এই দেশটি গত বছরের শুরুর দিক থেকে নারী গৃহকর্মী ও এবছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পুরুষ কর্মী নেয়া শুরু করে।

Comments