এবার ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র

একটি অজ্ঞাতনামা এলাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আজ ৮টি ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে
একটি অজ্ঞাতনামা এলাকা থেকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আজ ৮টি ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ছবি: দ্য কোরিয়া হেরাল্ড

উত্তর কোরিয়া গতকাল রোববার ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং এর পরপরই আজ ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

আজ দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট থেকে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ও দেশটিতে যৌথ মহড়ার জন্য অবস্থানরত মার্কিন বাহিনী ৮টি সার্ফেস-টু-সার্ফেস (ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য) ক্ষেপণাস্ত্র আর্মি ট্যাকটিকাল মিসাইল সিস্টেম থেকে পূর্ব সাগরে নিক্ষেপ করেছে।

এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১টি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।

উত্তর কোরিয়ার উস্কানিমূলক আচরণের জবাব দিতেই এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা অভিমত প্রকাশ করেন।

ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, 'দক্ষিণ কোরিয়া-মার্কিন গ্রাউন্ড টু গ্রাউন্ড ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে এটা প্রমাণ হয়েছে যে যেকোনো অবস্থান থেকে উস্কানির প্রত্যুত্তরে তাদের নেতৃবৃন্দ ও নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনীর ওপর তাৎক্ষনিক ও নিখুঁত ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।'

দক্ষিণ কোরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল গত ১০ মে ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত ৩ বার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

গত শনিবার দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়ার একদিন পর ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায় কিম জং উনের দেশ। পিয়ংইয়ংয়ের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানোর উদ্দেশে ১ লাখ টন ধারণ ক্ষমতার পারমাণবিক শক্তিতে চালিত উড়োজাহাজ বহনকারী রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রিগ্যান এ মহড়ায় অংশ নেয়।

উত্তর কোরিয়া এই যৌথ মহড়ার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা একে 'আক্রমণ করার পূর্ব-প্রস্তুতি' এবং কোরীয় দ্বীপপুঞ্জে অশান্তি সৃষ্টি করার উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া এ বছরে গড়ে প্রতি ৯ দিনে ১ বার কোনো না কোনো ধরনের পারমাণবিক উস্কানি দিয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার সাবেক কূটনীতিক তায় ইয়ং হো দাবি করেন, উত্তর কোরিয়া খুব শিগগির পারমাণবিক পরীক্ষা করতে যাচ্ছে। যখন সর্বোচ্চ পরিমাণ রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়া সম্ভব বলে মনে হবে, তখনই উত্তর কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ এ পরীক্ষা চালাবে বলে তিনি দাবি করেন।

গত সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তায় ইয়ং বলেন, 'এর অর্থ হচ্ছে এ বছরের ১৮টি উস্কানির ঘটনা প্রকৃতপক্ষে তাদের সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য করা।'

তিনি আরও দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার সামরিক উস্কানির নেপথ্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে শক্তিশালী অবস্থানে থাকা।

'দেশটিতে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং তাদের এখন অনেক মানবতামূলক সহায়তা প্রয়োজন', যোগ করেন তায় ইয়ং।

 

Comments

The Daily Star  | English

Wrap up polls preparations by December

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday instructed all relevant authorities to complete preparations by December for the upcoming national election.

1h ago