হোয়াইট হাউজ ও পেন্টাগনের ছবি তুলেছে উত্তর কোরিয়ার নতুন গোয়েন্দা স্যাটেলাইট

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রথম নজরদারি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠায়। দেশটি জানায়, এই স্যাটেলাইটের মূল কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা।
গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের তোলা ছবি নিরীক্ষা করছেন কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স
গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের তোলা ছবি নিরীক্ষা করছেন কিম জং উন। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া ও চীনের বন্ধু হিসেবে পরিচিত দেশ উত্তর কোরিয়া এতদিন পর্যন্ত বিদেশী স্যাটেলাইটের নজরদারিতে ছিল। এবার তারা নিজেরাই কক্ষপথে একটি স্যাটেলাইট পাঠিয়ে অন্যান্য দেশকে নজরদারিতে আনতে সক্ষম হয়েছে, যা কিম জং উনের জন্য একটি বড় অর্জন।

আজ মঙ্গলবার রয়টার্স উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম কেসিএনএর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, দেশটির নেতা কিম জং উন গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের ধারণ করা হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন ও মার্কিন রণতরীর ছবি নিরীক্ষা করেছেন।

গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া তাদের প্রথম নজরদারি স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠায়। দেশটি জানায়, এই স্যাটেলাইটের মূল কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা।

নতুন গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন কিম জং উন ও তার মেয়ে। ছবি: রয়টার্স
নতুন গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ উপলক্ষে আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেন কিম জং উন ও তার মেয়ে। ছবি: রয়টার্স

এরপর কেসিএনএ জানায়, স্যাটেলাইটটি দক্ষিণ কোরিয়া, গুয়াম ও ইতালির বেশ কয়েকটি শহর ও সামরিক ঘাঁটির ছবি তুলেছে। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের ছবিও তুলেছে এই স্যাটেলাইট।

তবে এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ং তাদের স্যাটেলাইটের ধারণ করা কোনো ছবি প্রকাশ করেনি। যার ফলে পশ্চিমের বিশ্লেষক ও বিদেশী সরকারগুলো তাদের নতুন স্যাটেলাইটের উপযোগিতা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি।

মঙ্গলবারের ছবিগুলোকে কেসিএনএ 'গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুর' ছবি হিসেবে বর্ণনা করেছে।

কেসিএনএ জানায়, কিম জং উন গুয়ামে অবস্থিত অ্যান্ডারসেন বিমানঘাঁটি, নরফোকের একটি নৌঘাঁটি ও নিউপোর্টের একটি বিমানঘাঁটির ছবিও নিরীক্ষা করেন। এই ছবিগুলোতে চারটি পারমাণবিক সক্ষমতাসম্পন্ন রণতরী ও যুক্তরাজ্যের একটি যুদ্ধবিমানবহনকারী রণতরী চিহ্নিত করেছে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়ার দাবি, এই ছবিগুলো গতকাল সোমবার তোলা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো বাণিজ্যিক উৎস থেকে উল্লেখিত অবস্থানগুলোর একই দিনে তোলা কোনো ছবি সংগ্রহ করতে পারেনি রয়টার্স।

গত সপ্তাহে এই রকেটটি মাল্লিগিয়ং-১ গোয়েন্দা স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে নিয়ে যায়। ছবি: রয়টার্স
গত সপ্তাহে এই রকেটটি মাল্লিগিয়ং-১ গোয়েন্দা স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে নিয়ে যায়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পিয়ংইয়ংয়ের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়টির নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল উত্তর কোরিয়ার ব্যালিসটিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

6h ago