ভিনগ্রহে প্রাণ খুঁজে পাওয়ার সংবাদ প্রকাশ করে আবার মুছে দিল চীন

গতকাল বুধবার চীন জানিয়েছে, তাদের বড় আকারের দূরবীক্ষণ যন্ত্র ‘স্কাই আই’ খুব সম্ভবত ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছে।
স্কাই আই নামে পরিচিত চীনের ৫০০ মিটার ব্যাসার্ধের দূরবীক্ষণ যন্ত্র
স্কাই আই নামে পরিচিত চীনের ৫০০ মিটার ব্যাসার্ধের দূরবীক্ষণ যন্ত্র। ছবি: সিএনএস

গতকাল বুধবার চীন জানিয়েছে, তাদের বড় আকারের দূরবীক্ষণ যন্ত্র 'স্কাই আই' খুব সম্ভবত ভিনগ্রহে প্রাণের অস্তিত্বের চিহ্ন খুঁজে পেয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দৈনিকের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ নিউজ গতকাল এ তথ্য জানিয়েছে। তবে কিছু সময় পর অনলাইন থেকে এই প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেওয়া হয়।

স্কাই আই হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেডিও দূরবীক্ষণ যন্ত্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এই যন্ত্রে চিহ্নিত ন্যারো ব্যান্ড সংকেত আগে পাওয়া সংকেতের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। তাই গবেষণা দল এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

প্রতিবেদনে গবেষণা দলের প্রধান বিজ্ঞানী ঝ্যাং টনিয়ের বরাত দেওয়া হয়। ৩টি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে ভিনগ্রহের উন্নত প্রাণী বা সভ্যতার খোজ করার জন্য এই দলটি তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে বেইজিং নরমাল বিশ্ববিদ্যালয়, চীনের বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির আওতাধীন ন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অবজারভেটরি এবং বার্কলেতে অবস্থিত ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।

চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক দৈনিক থেকে কেনো এই প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, সেটি জানা যায়নি। তবে সরিয়ে ফেলার আগেই এটি চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম উইবোতে ভাইরাল হয় এবং দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম সহ অন্য অনেক সংবাদ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে যায়।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত গিঝৌ প্রদেশে অবস্থিত স্কাই আইর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিনগ্রহে প্রাণ খুঁজে বের করার অভিযান শুরু হয়। এই দূরবীক্ষণ যন্ত্রের ব্যসার্ধ্য ৫০০ মিটার (১ হাজার ৬৪০ ফুট)।

সে বছরই বিজ্ঞানীরা ২০১৯ তথ্য যাচাই বাছাই করার সময় দুটি 'সন্দেহজনক' সংকেত চিহ্নিত করেন। প্রতিবেদন মতে, ২০২২ সালে একইরকম আরও একটি সংকেত চিহ্নিত হয়।

প্রতিবেদনে প্রধান বিজ্ঞানী ঝ্যাং জানান, স্কাই আই কম ফ্রিকোয়েন্সির রেডিও ব্যান্ডের প্রতি উচ্চ পর্যায়ের সংবেদনশীল এবং এটি ভিনগ্রহের সভ্যতা খোঁজার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

ডিলিট করে দেওয়া প্রতিবেদন মতে, এই সন্দেহজনক সংকেতগুলো ভিনগ্রহের প্রাণীর কাছ থেকে এসেছে, এমনটা এখনই নিশ্চিত করছেন না বিজ্ঞানীরা। এটি 'রেডিও ইন্টারফিয়ারেন্স' ও হতে পারে।

'এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও যাচাইবাছাইয়ের প্রয়োজন', যোগ করেন ঝ্যাং।

ব্লুমবার্গ নিউজ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দৈনিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও কোনো সাড়া পাননি।

 

Comments