রাজাপাকসে পরিবার ও শ্রীলঙ্কার রাজনীতি

মারাত্মক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। গতকাল শনিবার কলম্বোর রাস্তায় এর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বাসভবন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
মাহিন্দা রাজাপাকসে ও গোতাবায়া রাজাপাকসে। ছবি: সংগৃহীত

মারাত্মক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। গতকাল শনিবার কলম্বোর রাস্তায় এর ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে, দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে বাসভবন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।

২২ মিলিয়ন মানুষের দ্বীপ রাষ্ট্রটি কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ ব্লাকআউট, তীব্র খাদ্য ও জ্বালানি ঘাটতি এবং রেকর্ড মন্দার কারণে মুদ্রাস্ফীতির কবলে ভুগছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবিতে দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। কারণ তাদের দাবি, এই চরম আর্থিক সংকটের জন্য সরকারের দীর্ঘস্থায়ী অব্যবস্থাপনা দায়ী।

শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে। ৮ জুলাই, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

রাজাপাকসে ভাইদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে শ্রীলঙ্কার টাইমলাইন:

শুরু

বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান প্রেসিডেন্টের বাবা ডন আলউইন রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির (এসএলএলপি) প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তিনি ২ বারের সংসদ সদস্য ছিলেন। তখন এসএলএলপির নেতৃত্বে ছিলেন এসডব্লিউআরডি বান্দারানায়েক। তিনিও এসএলএলপির আরেকজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং শ্রীলঙ্কার ধনী পরিবারের সন্তান। ১৯৫৯ সালে তাকে হত্যার পর তার স্ত্রী সিরিমাভো দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯৯৪ সালে চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা এসএলএলপির দায়িত্ব নেন। এরই মধ্যে মাহিন্দা রাজাপাকসে রাজনীতিতে ২ দশক অতিবাহিত করেছেন। কুমারাতুঙ্গার ২ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে রাজাপাকসে ক্যাবিনেট মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তখন রাজাপাকসে পরিবারের আরও ২ সদস্য—বড় ভাই চামাল ও চাচাত ভাই নিরুপমাও রাজনীতিতে যুক্ত আছেন। কুমারাতুঙ্গা রাজনীতি ছাড়ার পর ২০০৫ সালে মাহিন্দা প্রেসিডেন্ট হন।

অন্যদিকে, গোতাবায়া সামরিক কর্মজীবনে ছিলেন এবং পদমর্যাদার মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে উপরের দিকে উঠেন। সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসিত হন। পরে সেখান থেকে ফিরে এসে তার ভাইয়ের সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন।

ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা

২০০৯ সালে জাতিগত তামিল বিদ্রোহীদের সঙ্গে দেশের ২৬ বছরের গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোয় তারা দুই ভাই সিংহলি বৌদ্ধদের মধ্যে বিপুল সমর্থন লাভ করেন এবং মাহিন্দা ২০১০ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

২ ভাইয়ের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কার সিংহলিজ-বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠদের সামরিকীকরণ শুরু হয়। সেই সময়ও মাহিন্দা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিভিন্ন পদে অন্তর্ভুক্ত করেন। এজন্য তিনি বড় ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় নেন বলে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, প্রধানত জাতিগত সিংহলি। হিন্দুরা প্রধানত জাতিগত তামিল ও জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৬ শতাংশ। ৯ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম এবং ৭ দশমিক ৬ শতাংশ খ্রিস্টান।

২০১৫ সালে মাহিন্দা তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সংবিধান পরিবর্তন করেন এবং দ্রুত নির্বাচন আহ্বান করেন। কিন্তু, তিনি মাইথ্রিপালা সিরিসেনার কাছে পরাজিত হন। মাইথ্রিপালা তার সংস্কারবাদী মনোভাবের কারণে সংখ্যালঘুদের সমর্থন অর্জন করেন এবং জোট সরকার গঠনের ডাক দেন।

এখানেই শেষ নয়

মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেন। তখন ধারণা করা হয়েছিল, শ্রীলঙ্কায় রাজাপাকসে তার গুরুত্ব হারাচ্ছেন। কিন্তু, ইতোমধ্যে সিরিসেনার জোট সরকার অন্তর্দ্বন্দ্বে জর্জরিত হয়ে পড়ে। এরপর ২০১৯ সালের ইস্টার সানডেতে দেশটির খ্রিস্টান গির্জা এবং বিলাসবহুল হোটেল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। এতে শত শত মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনা রাজাপাকসে ভাইদের জন্য যেন আশীর্বাদ বয়ে আনে।

সিরিসেনা সরকার গোয়েন্দা তথ্য এবং বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদের ওপর ভিত্তি করে কাজ করেনি, এমন অভিযোগের মাধ্যমে গোতাবায়া রাজাপাকসে সেই বছরের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় আসেন। তিনি ক্ষমতায় এসেই মাহিন্দাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং তার মন্ত্রিসভায় আরও ২ ভাই চামাল ও বেসিল এবং এক ভাইয়ের ছেলেকে যুক্ত করেন।

শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের বাড়িতে আগুন দেন বিক্ষোভকারীরা। ছবি: সংগৃহীত

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার ভাইয়ের ছেলে একজন রাজনৈতিক কৌশলবিদ হিসেবে পরিচিত এবং মাহিন্দার অধীনে অর্থমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তিনি দেশের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। মাহিন্দা যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন চামাল পার্লামেন্টের স্পিকার ছিলেন এবং আরও আগে নৌপরিবহন ও বিমান মন্ত্রী ছিলেন। সম্প্রতি তিনি সেচ দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন।

২০২০ সালে গোতাবায়া সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে পার্লামেন্টের ব্যয়ে তার অফিসের ক্ষমতা জোরদার করেন। কিন্তু, যখন গোতাবায়া দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন শ্রীলঙ্কা অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে ছিল। কারণ দেশটিতে বোমা হামলা পর অর্থনীতিতে ধস নামতে শুরু করে। এরপর করোনা মহামারির কারণে পর্যটন খাতের পতন এবং কিছু অবকাঠামো প্রকল্পে বিদেশি ঋণের কারণে দেশটির অর্থনীতি আরও ভেঙে পড়ে।

রাজাপাকসেদের ভুল

মাহিন্দা নিজের অঞ্চল হাম্বানটোটায় একটি বন্দর নির্মাণে চীনের কাছ থেকে ঋণ নেন। এই প্রকল্পে ঋণ পরিশোধ করা শ্রীলঙ্কার জন্য প্রায় অসম্ভব। এরপর অর্থনীতি ভেঙে পড়ার মধ্যে গোতাবায়া শ্রীলঙ্কাকে দেশটির ইতিহাসে বৃহত্তম কর হ্রাসের মধ্যে ঠেলে দেয়। যা দেশটির অর্থনীতিকে ব্যাপক বিরূপ প্রভাব ফেলে। পরে মহামারিতে দেশটির পর্যটন খাতে ব্যাপক ধস নামে। এই খাত দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার একটি প্রধান উৎস। ২০২১ সালের এপ্রিলে রাসায়নিক সার আমদানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে বাধ্য হন গোতাবায়া। চলতি বছরে সমস্যাগুলো আরও জটিল হয়ে উঠে। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও তেলের দাম বেড়েছে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, এপ্রিলে মূল্যস্ফীতি ছিল ৩০ শতাংশ এবং খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

অর্থনীতির ধস

শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের এপ্রিলে স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ খেলাপি হয়ে পড়ে। দেশটির ২২ মিলিয়ন মানুষ ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন: ওষুধের চরম সংকটের মুখোমুখী হতে শুরু করে।

দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি সর্বকালের সর্বোচ্চ ১৭ দশমিক ৫ শতাংশে ছিল। যেখানে এক কেজি চালের মতো খাদ্যদ্রব্যের দাম ৫০০ শ্রীলঙ্কান রুপিতে উন্নীত হয়। স্বাভাবিক সময়ে যার দাম প্রায় ৮০ রুপি। সংকটের মধ্যে ৪০০ গ্রাম প্যাকেট গুঁড়া দুধের দাম ২৫০ রুপির বেশি হয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়। অন্য সময় যার দাম থাকে সাধারণত প্রায় ৬০ রুপি।

শেষের শুরু

১ এপ্রিল: জরুরি অবস্থা জারি

চলতি বছরের ১ এপ্রিল রাজাপাকসে অস্থায়ী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। বিক্ষোভের পর সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার এবং আটক করতে নিরাপত্তা বাহিনীকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়।

৩ এপ্রিল: মন্ত্রিসভার পদত্যাগ

শ্রীলঙ্কার মন্ত্রিসভার প্রায় সবাই রাতে এক বৈঠকের মাধ্যমে পদত্যাগ করেন। ফলে গোতাবায়া রাজাপাকসে ও তার ভাই মাহিন্দা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

৫ এপ্রিল: সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান প্রেসিডেন্ট

প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসের সমস্যাগুলো আরও প্রকট হয়। কারণ, অর্থমন্ত্রী আলি সাবরিকে নিযুক্ত করার মাত্র এক দিন পরে পদত্যাগ করেন। অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগের পর পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারান গোতাবায়া। পরে তিনি জরুরি অবস্থা তুলে নেন।

১০ এপ্রিল: ওষুধের ঘাটতি

শ্রীলঙ্কার চিকিৎসকরা বলেন, দেশটিতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মজুত প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তারা সতর্ক করেন, এই সংকটের ফলে করোনা মহামারির চেয়েও বেশি মানুষ মারা যেতে পারেন।

১২ এপ্রিল: বৈদেশিক ঋণ খেলাপি

শ্রীলঙ্কা সরকার নিজেদের 'শেষ অবলম্বন' হিসেবে ৫১ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ খেলাপির ঘোষণা দেন।

১৯ এপ্রিল: প্রথম হতাহতের ঘটনা

পুলিশের হামলায় একজন বিক্ষোভকারী নিহত হন। এটি ছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের প্রথম হতাহতের ঘটনা। পরের দিন আইএমএফ জানায়, তারা শ্রীলঙ্কাকে উদ্ধারের প্যাকেজে সম্মত হওয়ার আগে বৈদেশিক ঋণ পুনর্গঠন করতে বলেছে।

৯ মে: সহিংসতার দিন

ফাস্টপোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলম্বোতে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের বাইরে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পে গ্রাম থেকে আসা সরকারি অনুগতদের একটি দল হামলা করে। পরবর্তীকে প্রতিশোধমূলক হামলায় ৯ জন নিহত এবং আরও শত শত আহত হয়। পরে, সংসদ সদস্যদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিন মাহিন্দা রাজাপাকসে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং হাজারো বিক্ষোভকারী কলম্বোতে তার বাসভবনে হামলা চালায়। পরে সেনারা তাকে উদ্ধার করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন রনিল বিক্রমাসিংহে। যিনি একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং আগে বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১০ মে: গুলির আদেশ

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় রাষ্ট্র বা জীবনের ক্ষতি হবে এমন কিছুর সঙ্গে জড়িত কাউকে দেখলেই গুলি করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, বিক্ষোভকারীরা সরকারের নতুন কারফিউ প্রত্যাখ্যান করেন এবং সপ্তাহের শেষে তা প্রত্যাহার করা হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা কলম্বোর শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করেন এবং তার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন।

১০ জুন: মানবিক জরুরি অবস্থা

জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়ে জানায়, শ্রীলঙ্কা ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি, লাখো মানুষের এরই মধ্যে সাহায্যের প্রয়োজন হয়েছে। 

ফাস্টপোস্ট বলছে, জাতিসংঘ আরও জানায়, দেশটির তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ খাদ্য ঘাটতির কারণে খাদ্য গ্রহণ কমিয়েছে।

কিছু বিক্ষোভকারীদের প্রেসিডেন্টের পুলে সাঁতার কাটতে দেখা যায়। ছবি: সংগৃহীত

২৭ জুন: জ্বালানি বিক্রি স্থগিত

সরকার জানায়, শ্রীলঙ্কা প্রায় জ্বালানি সরবরাহের বাইরে চলে গেছে এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ব্যতীত পেট্রোল বিক্রি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

১ জুলাই: মুদ্রাস্ফীতির নতুন রেকর্ড

শ্রীলঙ্কা সরকার এমন একটি তথ্য প্রকাশ করে, যেখানে দেখা যায় দেশটির মুদ্রাস্ফীতি টানা নবম মাসে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এর একদিন আগে, আইএমএফ শ্রীলঙ্কাকে উচ্চমূল্য এবং ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে বলেছিল।

৯ জুলাই: প্রেসিডেন্টের বাড়িতে হামলা

৯ জুলাই বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন মারাত্মক আকার ধারণ করে। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে সেনাদের সহায়তায় কলম্বোতে তার সরকারি বাসভবন থেকে পালিয়ে যান। তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের ঘোষণা দেন। তারপর বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। এর কয়েক ঘণ্টা পরই দেশটির স্পিকার জানান, আগামী ১৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেও পদত্যাগ করবেন।

Comments