‘পুলিশ সদর দপ্তর’ ভেবে মমতার বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন সেই যুবক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে রাত গভীরে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢুকে পড়া 'আগন্তুক' পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি সেটিকে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তর ভেবেছিলেন।
পুলিশ এই আগন্তুকের পরিচয় জানতে পেরেছে। হাফিজুল মোল্লাহ নামের বছর তিরিশের এই যুবক কালীঘাটের ৩৪ বি হরিশ চ্যাটার্জী স্ট্রিটে অবস্থিত মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের একটি দেওয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে পড়েন। রোববার দিবাগত রাত ১টা বেজে ২০ মিনিটে (স্থানীয় সময়) তিনি এই অপকর্মটি করেন। বাসার এক কোণায় নির্বিঘ্নে রাত কাটানোর পর সোমবার সকালে তাকে 'আবিষ্কার' করা হয়। নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশের এক কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম বঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার হাসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুল মোল্লাহর কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন তিনি গভীর রাতে কলকাতা পুলিশের সদর দপ্তরে যেতে চেয়েছিলেন। এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
পুলিশের কর্মকর্তা আরও জানান, হাফিজুলকে ভারতের ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আপাতত ১১ জুলাই পর্যন্ত তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
জেরার সময় হাফিজুল প্রথমে নিজেকে একজন ফল বিক্রেতা এবং পরে মালবহনকারী গাড়ীর চালক হিসেবে দাবি করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা তার দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করছেন। কালীঘাটে পৌঁছানোর আগে রোববার তিনি কী করেছেন, কোথায় ছিলেন, সেসব খতিয়ে দেখছে কলকাতার পুলিশ।
পুলিশের কর্মকর্তা আরও বলেন, 'আমরা তার দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই করছি। আমাদের কর্মকর্তারা রোববার সারাদিনে তার কর্মকাণ্ডের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। কীভাবে তিনি কালীঘাটে এলেন, তিনি একা ছিলেন না তার সঙ্গে আরও কেউ ছিলেন, কীভাবে তিনি নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ এড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশ করলেন, এসব বিষয় জানার চেষ্টা চলছে।'
এ ঘটনায় সরকারি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে পশ্চিম বঙ্গের সরকারী কর্মকর্তারা সোমবার রাজ্য সচিবালয়ে এক বৈঠক করেন এবং মমতার নিরাপত্তা ব্যবস্থার পর্যালোচনা করেন।
আটকের পর হাফিজুল মোল্লাহ সম্পর্কে এক পুলিশ কর্মকর্তা মন্তব্য করেন, 'লোকটাকে দেখে মনে হয়েছে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।'
Comments