অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মালেকের ৩০ বছরের সাজা

অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আব্দুল মালেক। ছবি: এমরুল হাসান বাপ্পী/স্টার ফাইল ছবি

অস্ত্র মামলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেকের ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম দুপুর ১২টায় আব্দুল মালেকের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে আব্দুল মালেককে অস্ত্র রাখার জন্য ১৫ বছর এবং গুলি রাখার জন্য আরও ১৫ বছর সাজা প্রদান করা হয়। তবে উভয় সাজা একসঙ্গে চলায় তাকে মোট ১৫ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক আব্দুল মালেককে তুরাগের বামনারটেক এলাকার একটি সাততলা ভবন থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

অবৈধ অস্ত্র, জাল নোটের ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করার পর র‍্যাব জানায়, তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারীর বিপুল সম্পদের খোঁজ পেয়েছেন তারা।

মালেককে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব জানায়, তার দুটি সাততলা ভবন, নির্মাণাধীন একটি ১০ তলা ভবন, জমি, গরুর খামার ও বিভিন্ন ব্যাংকে নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ গচ্ছিত অর্থের সন্ধান পাওয়া যায়। তার সম্পদের অর্থমূল্য শত কোটি টাকারও ওপরে।

ওই সময় র‍্যাবের দাবি করে, মালেকের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ জাল বাংলাদেশি টাকা, একটি ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আবদুল মালেক অষ্টম শ্রেণি পাস। তিনি ১৯৮২ সালে প্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পের গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। বছর চারেক পর অধিদপ্তরের পরিবহন পুলে যোগ দেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত তিনি প্রেষণে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবহন পুলের গাড়িচালক ছিলেন। ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তিনি বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank dissolves National Bank board

Bangladesh Bank again dissolves National Bank board

The bank’s sponsor director Khalilur Rahman made the new chairman

1h ago