‘ডিজিটাল যুগে বিচারকাজে দেরি জনগণ ভালোভাবে দেখবে না’

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজ করার গতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরকেও এটা বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। স্টার ফাইল ছবি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল যুগে বিশ্বব্যাপী কাজ করার গতি বহুগুণ বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের বিচারকদেরকেও এটা বিবেচনায় নিয়ে বিচারকাজের গতি বাড়াতে হবে।

বিচারকরা দ্রুত বিচারকাজ কীভাবে সম্পন্ন করবেন, সেটা নিয়ে তাদের ভাবতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আজ বুধবার ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিচারকদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, 'যুগ কিন্তু পাল্টে গেছে। আপনারা এখন ডিজিটাল যুগের বিচারক। আগে বিচারকাজে দেরি হলে, বিভিন্ন কারণ উপলব্ধি করে জনগণ নিজেকে বুঝ দিতো। কিন্তু এই ডিজিটাল যুগে তারা বিচারের বিলম্ব ভালোভাবে দেখবে না। তারা দ্রুত ন্যায়বিচার চায়।'

'একটি কথা চালু আছে জাস্টিস ডিলেইড ইজ জাস্টিস ডিনাইড এবং জাস্টিস হারিড ইজ জাস্টিস বারিড। আপনাদের এই দুটোর মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। একটি ব্যালান্সের মধ্যে আসতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, 'অভিযোগ আছে, বিচারকাজে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য নিতে দেরি হয়। কারণ তাদের খুঁজে বের করতে, চিহ্নিত করতে এবং কর্মস্থল থেকে বিচারিক আদালতে আনতে অনেক সময় লেগে যায়। এ সমস্যা দূর করার অংশ হিসেবে মামলার চার্জশিটে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তার মোবাইল নম্বর যুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।'

'এতে তাদের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করে আদালতে আনা যাবে। এখন আমরা আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। সেটা হচ্ছে এসএমএসের মাধ্যমে মেডিকেল অফিসার ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ সব সাক্ষীকে মামলার তারিখ জানানো। এর ফলে তারা আর বলতে পারবেন না যে তারা সংবাদ পাননি,' বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, 'এখন বিচারকদের যেটা নিশ্চয়তা দিতে হবে সেটা হলো যেদিন মেডিকেল অফিসার বা তদন্ত কর্মকর্তা বা অন্য কোনো সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসবেন, সেদিন যেন তাদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।'

মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, 'নিজেদের অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু করেছি। এটা হচ্ছে আমাদের মর্যাদার ব্যাপার। এই সেতুর কল্যাণে এখন ঢাকা থেকে চার ঘণ্টায় বরগুনায় যাওয়া যাচ্ছে। যেটা আগে লাগত কমপক্ষে ১০-১২ ঘণ্টা। আমাদেরও কিন্তু বিচার করতে গেলে এই গতিটা মেইনটেইন করতে হবে। তা না হলে ৩৯ লাখ মামলাজট কমিয়ে আনতে পারব না।'

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তব্য দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Ratan Tata no more

The 87-year-old industrialist was admitted to Breach Candy Hospital for age-related ailments

1h ago