অপরাধ ও বিচার

নারায়ণগঞ্জে ২ কিশোর গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ কিশোর গ্রুপের সংঘর্ষে মো. ইমন (১৮) নামের ১ কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২ জন। এ ঘটনায় পুলিশ ১ কিশোরকে আটক করেছে।
murder logo
প্রতীকী ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ কিশোর গ্রুপের সংঘর্ষে মো. ইমন (১৮) নামের ১ কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ২ জন। এ ঘটনায় পুলিশ ১ কিশোরকে আটক করেছে।

গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার মাদানী নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইমন উপজেলার আর্দশনগর এলাকার শাহ আলমের ছেলে। সে আলী আকবর স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহতরা হলো মশিউর রহমান রনি (১৮) ও শাহরিয়ার জয় (১৮)।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিহত ইমন ও আহত মশিউর রহমান রনি পরস্পরের বন্ধু। তাদের নিজেদের ২টি কিশোর গ্রুপ আছে। কিছুদিন আগে কয়েকদিনের ব্যবধানে এই ২ জনকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। তাদের নামে তাদের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ ও যাত্রাবাড়ি থানায় মামলাও আছে।

মশিউর রহমান বলেন, 'র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার ব্যাপারে ইমন ও রনি একে অপরকে দোষারোপ করে আসছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বিরোধের জের ধরে বুধবার রাত ১১টার দিকে বাগমারা এলাকায় রনি ও তার সহযোগীরা ইমন এবং তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় রনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে ইমনকে আঘাত করে। সংঘর্ষে ইমনের পাশাপাশি আহত হয় রনি ও শাহরিয়ার। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমনকে মৃত ঘোষণা করেন।'

ওসি জানান, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে রনি বাগমারার এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত ইমনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে নিহত ইমনের মা শাহিনুর বেগম সাংবাদিকদের বলেন, 'ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইমন ও শাহরিয়ারকে আমি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। আমার ছেলে কোনো খারাপ কাজে জড়িত ছিল না। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।'

Comments