রোগীপ্রতি ২০-২৫ লাখ টাকা নিতেন কিডনি চক্রের সদস্যরা: র‌্যাব

চক্রের ৫ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে অবৈধভাবে কিডনি কেনাবেচায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম হোতা শহিদুল ইসলাম ওরফে মিঠুসহ চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ভাটারা, বনশ্রী ও মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার অন্য ৪ জন হলেন, মিজানুর রহমান (৪৪), আল মামুন মেহেদী (২৭), মো. সাইমন (২৮) ও মো. রাসেল হোসেন (২৪)।

এ ব্যাপারে আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি কেনাবেচা এই চক্রের মোট সদস্য ১৫-২০ জন।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার ৫ জনের কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে চুক্তির অ্যাফিডেভিট কপি ও পাসপোর্টসহ ক্রসম্যাচিংয়ের বিভিন্ন দলিল, দেশি-বিদেশি মুদ্রা, কয়েকজনের জাতীয় পরিচয়পত্র ও তার ফটোকপি, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের জাল সিলমোহর, খালি স্ট্যাম্প, সিপিইউ, মুঠোফোন এবং সিম কার্ড জব্দ করা হয়।

র‌্যাব অধিনায়কের ভাষ্য, এই চক্রের সদস্যরা মূলত ৩ ভাগে ভাগ হয়ে কিডনি কেনাবেচার প্রক্রিয়া চালান। চক্রের প্রথম দল ঢাকায় অবস্থান করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। চক্রের দ্বিতীয় দলটি প্রথম দলের চাহিদা মোতাবেক দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব ও অভাবী মানুষদের চিহ্নিত করে এবং তাদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের জন্য ডোনার হতে প্রলুব্ধ করে ঢাকায় নিয়ে আসে।

পরের ধাপে তৃতীয় দল প্রলোভনের শিকার হওয়া ডোনারদের ঢাকায় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন-প্রত্যাশী রোগীর সঙ্গে ব্লাড ম্যাচিং ও অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করে। এরই ধারাবাহিকতায় পাসপোর্ট, ভিসা প্রসেসিং ও ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে ডোনারকে পার্শ্ববর্তী দেশে পাঠানোর জন্য তৈরি করে।

আবদুল্লাহ আল মোমেন জানান, প্রতিটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য চক্রের সদস্যরা রোগীপ্রতি ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা নিতেন। বিপরীতে ডোনারকে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম দিতেন ২ লাখ টাকা।  এভাবে তারা বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।

Comments

The Daily Star  | English

Early US intel assessment suggests strikes on Iran did not destroy nuclear sites: CNN

Israeli Prime Minister Benjamin Netanyahu said Israel had agreed to Trump's ceasefire proposal

2d ago