রায় অমান্য করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা, ৭ জনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার অভিযোগ

নাটোর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রনি খাতুন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে সংবিধান ও হাইকোর্টের রায় অমান্য করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজা দেওয়ার অভিযোগের বিষয়টি হাইকোর্ট বিভাগের নজরে আনতে আদেশের কপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর পাঠিয়েছেন নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার আদেশের কপি পাঠানো হয় বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।

এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৫ সদস্য নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এফ এম গোলজার আহমেদ আদালতে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দাখিল করেন।

আদালতের কাছে তাদের জবাব গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় নাটোরের এসিল্যান্ডসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে সংবিধান ও আদালত অবমাননার অভিযোগ হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্দুল মজিদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা হলেন-- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নাটোর সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রনি খাতুন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় নাটোরের উপপরিদর্শক মো. তাইজুল ইসলাম, সহকারী উপপরিদর্শক মো. আশরাফুজ্জামান, অপর সহকারী উপপরিদর্শক মো. আব্দুল মোমিন, সিপাই মো. বিপ্লব হোসেন, সিপাই আশরাফুল ইসলাম হিমেল ও সিপাই মিনহাজুল ইসলাম।

গত ১৮ জুন তারিখে দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনে 'আইন লঙ্ঘন করে সাজা দেওয়ার অভিযোগ ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিরুদ্ধে' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হলে তা সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আসে।  

ওই দিনই নাটোরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদি হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের ৫ সদস্যকে আজ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দেয়ার আদেশ দেন।

২০১৬ সালের হাইকোর্টের এক রায় অনুসারে 'কোনো ব্যক্তিকে পূর্বেই গ্রেপ্তার বা আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের মোবাইল কোর্ট আইনে সাজা প্রদান করার সুযোগ নাই। যদি কাউকে এই পদ্ধতিতে সাজা প্রদান করা হয় তাহলে সেই বিচারের পুরো প্রক্রিয়া বাতিল হবে এবং সেই সাজার আদেশ হবে অবৈধ ও এখতিয়ার বহির্ভূত।'

বাংলাদেশ সংবিধানের ১১১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই রায় সংশ্লিষ্ট সবার ওপর বাধ্যকর।

অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, ২০০৯ অনুসারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারের সামনে তফসিলভূক্ত অপরাধ সংঘঠিত বা উদঘাটিত হলে এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি দোষ স্বীকার করলে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে সাজা দিতে পারবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

তবে গত ১৩ জুন দুপুরে বঙ্গজল ট্রমা সেন্টার ও হাসপাতালের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের তিন নেতাকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর নাটোর কার্যালয়ের তিন সদস্য। পরে ঘটনাস্থলে অনুপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে স্টেডিয়ামের সামনে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে সাজা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।

Comments

The Daily Star  | English
BNP's stance on president removal in Bangladesh

BNP for polls roadmap in 2 to 3 months

Unless the interim government issues a roadmap to the next election in two to three months, the BNP may take to the streets in March or April next year, say top leaders of the party.

7h ago