সাংবাদিকের প্রতিবেদন নিয়ে অভিযোগে দুদককে প্রেস কাউন্সিলে যেতে বললেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো সাংবাদিকের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে না পারলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কাছে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

হাইকোর্ট এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোনো সাংবাদিকের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট হতে না পারলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কাছে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রেস কাউন্সিল আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

গত বছর হাইকোর্টের দেওয়া একটি স্বতঃপ্রণোদিত রুলের শুনানির সময় বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন।

গত বছরের ৩ মার্চ দৈনিক ইনকিলাবে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ৮ মার্চ এ রুল জারি করেন।

গণপূর্ত বিভাগের সাবেক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সাবিহা আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে দুদকের অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়ে '২০ কোটিতে প্রকৌশলী আশরাফুলের দায়মুক্তি! দুর্নীতি দমনে দুদক স্টাইল' শিরোনামে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক সাঈদ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খানের আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাইকোর্ট আশরাফুল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে নতুন করে তদন্ত করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন।'

রুলের শুনানিকালে দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিক সাঈদ আহমেদ খান ও ইনকিলাবের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের নামে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ করে তারা মাফিয়া স্টাইলের সাংবাদিকতা করেছেন।'
   
তিনি বলেন, 'গুজবের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।'

সাঈদ আহমেদ খানের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির আদালতে বলেন, 'সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদ চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। আরো সুনির্দিষ্টভাবে, অনুচ্ছেদ ৩৯ (২) (খ) স্পষ্টভাবে 'সংবাদপত্রের স্বাধীনতা' শব্দটি উল্লেখ করেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য এ স্বাধীনতার প্রয়োজন। একজন সাংবাদিক গবেষণা, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ, পর্যবেক্ষণ ও যথেষ্ট পরিশ্রম করে একটি অনুসন্ধান চালান। এতে করে সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন এবং জাতির সেবা করেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Age limit for govt job entry: 35yrs for men, 37 for women

A government committee has recommended raising the maximum age for applying for public service jobs to 35 years for men and 37 years for women.

7h ago