এখানেই অবস্থান করব, প্রয়োজনে সারারাত থাকব: কমলাপুর স্টেশনে ডা. জাফরুল্লাহ

মহিউদ্দিন রনি ও ডা. জাফরুল্লাহ
রেলখাতের অনিয়ম নিয়ে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনির ৬ দফার সঙ্গে সংহতি জানিয়ে রোববার বিকেল থেকে কমলাপুর স্টেশনে অবস্থান নেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সুমন আলী/ স্টার

রেলের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়ম নিয়ে কমলাপুর রেল স্টেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার  জন্য আড়াই ঘণ্টা ধরে স্টেশনের বাইরে  অবস্থান করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তবে নিরাপত্তার স্বার্থে একসঙ্গে কয়েকজনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

বিকেল ৬টার দিকে স্টেশন মাস্টার জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এসময় কারা কারা ভেতরে যেতে চান তাদের নাম নিয়ে যান। এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, মহিউদ্দিন রনিসহ ৫ জনের নাম দেওয়া হয়।

৬টা ২০ মিনিটের দিকে স্টেশন মাস্টার আবার এসে শুধু জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ভেতর প্রবেশ করতে বলেন।

এসময় জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, 'আমিসহ ৫ জন ভেতর যাবো। একা যাবো না। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের ৫ জনকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না এবং আমাদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারারা কথা বলবেন না আমি এখানেই অবস্থান করবো। প্রয়োজনে সারারাত থাকবো।'

এসময় স্টেশন মাস্টার বলেন,  'যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে ৫ জনকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না।'

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনে অবস্থান করছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

এর আগে বিকেল ৫টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে এসে রেলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ১৮ দিন ধরে আন্দোলনরত মহিউদ্দিন রনির ৬ দফার সঙ্গে সংহতি জানান জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রেলে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে গত ৭ জুলাই কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি।

রনি বলেন, 'কোন বাচ্চার নাম কী রাখা হলো সে নিউজও দ্রুত প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যায়। আমি ১৮ দিন ধরে আন্দোলন করছি অথচ আমার দাবিগুলো পৌঁছায় না। প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস ছাড়া অন্য কারো কথায় আমি আন্দোলন থেকে সরে যাবো না।'

তিনি বলেন, 'আমি নির্দিষ্ট সময় ভাড়া পরিশোধ করিনি এজন্য টিকিট পাইনি এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আরও অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সত্যকে ঢাকতে এসব করা হচ্ছে।'

আমাকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমার উপর ডিম ছুড়ে মারা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। কোনোভাবেই আমাকে ৬ দফা থেকে সরানো যাবে না, দাবি করেন তিনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago