ওয়ারীতে দগ্ধ নারী চিকিৎসকের মৃত্যু

রাজধানীর ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিট এলাকায় নিজ বাসায় দগ্ধ নারী চিকিৎসক মারা গেছেন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার সকাল ১০টায় তার মৃত্যু হয়।
ওই চিকিৎসকের নাম অদিতি সরকার (৩৮)। তিনি নিজেই নিজের গায়ে আগুন দিয়েছিলেন বলে ধারণা করছেন তার স্বামী মনেষ মণ্ডল।
অদিতির মৃত্যুর বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি জানান, অদিতির শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত ২৪ জুন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওয়ারীর ১০ নম্বর হেয়ার স্ট্রিট বাসাটির ৬ষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে দগ্ধ হন অদিতি।
তার স্বামী মনেষ মণ্ডল জানান, মিটফোর্ড হাসপাতালের শিশু বিভাগের রেজিস্ট্রার ছিলেন ডা. অদিতি সরকার। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। আর তিনি নিজে প্রকৌশলী। তাদের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জে। দীর্ঘদিন ধরেই অদিতি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও মানসিকভাবে হতাশ ছিলেন।
'তাকে চিকিৎসা নিতে বলছিলাম। তবে, সে চিকিৎসা নিতে চাচ্ছিল না। এজন্য আমাদের মধ্যে সামান্য ঝগড়া হয়', বলেন তিনি।
মনেষ বলেন, '২৪ জুন সকালে আমি কাজে অফিসে ছিলাম। অনলাইনে যখন একটি সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলাম, তখন অদিতি বারবার ফোন দিচ্ছিল। ফোন কেটে দেওয়ার পরও সে বারবার ফোন দিচ্ছিল। পরে ফোন রিসিভ করে তার সঙ্গে সামান্য রাগ করে কথা বলি। দুপুরে বাসায় ফিরে পোশাক পরিবর্তন করছিলাম। হঠাৎ পাশের রুমে অদিতির চিৎকার শুনতে পাই। দৌড়ে গিয়ে দেখি তার শরীরে আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে বাথরুমে নিয়ে তার শরীরে পানি ঢালি। এরপর ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে একটি অ্যাম্বুলেন্স ডেকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাই।'
অদিতি নিজেই নিজের গায়ে আগুন দিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করেন তার স্বামী মনিষ।
ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন হাওলাদার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডা. অদিতি নামে এক নারী চিকিৎসক আগুনে দগ্ধ হয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন। মৃত্যুর আগে তিনি বলে গিয়েছেন যে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে নিজেই নিজের শরীরে আগুন দিয়েছিলেন। এখন তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।'
Comments