ঢাকা মেডিকেল পরিচালকের বিরুদ্ধে সাংবাদিক হয়রানির অভিযোগ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা মেডিকেল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের বিরুদ্ধে এক সাংবাদিককে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

হয়রানির শিকার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের স্টাফ রিপোর্টার সাংবাদিক তানভীরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সোমবার দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ে কর্তব্যরত অবস্থায় তার সঙ্গে অসদাচরণ করা হয়।

তাকে ওই কার্যালয়ে কিছু সময় আটকে রাখা হয় এবং তার ফোন থেকে ভিডিও ফুটেজ মুছে দিতে বাধ্য করা হয় বলে অভিযোগ তার।

সাংবাদিক তানভীরুল জানান, দুপুরে ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের সঙ্গে তার পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাতের কথা ছিল। হাসপাতালের এক চিকিৎসকের 'অনিয়মের' বিষয়ে তিনি পরিচালকের বক্তব্য নিতে যান।

তিনি বলেন, 'আমি তার অনুমতি নিয়ে তার সাক্ষাৎকারের ফুটেজ নিতে শুরু করি। আমি যখন তাকে বলি যে ওই চিকিৎসকের অনিয়মের বিষয়ে আমার কাছে প্রমাণ আছে, তখন তিনি (ডা. নাজমুল) হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান। তিনি সে সময় আমার ওপর রেগে যান এবং আমাকে "অসভ্য", "ফাজিল" বলে গালাগালি করেন।'

এক পর্যায়ে তানভীর ওই রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাকে বের হতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তার।

তানভীর বলেন, 'তিনি আমাকে সেখানে বসে থাকতে বাধ্য করেন এবং ঢাকা পোস্টের ঢামেক রিপোর্টার না আসা পর্যন্ত আমাকে সেখানে থাকতে বলেন।'

'তারপর আমার ফোন থেকে ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন,' বলেন তিনি।

তবে ওই ভিডিও পরে উদ্ধার করা যায় বলে জানান তিনি।

দ্য ডেইলি স্টার ভিডিওটি পর্যালোচনা করতে সক্ষম হয়েছে। এতে দেখা যায়, ডা. মো. নাজমুল হক বিনা উসকানিতে এক পর্যায়ে হঠাৎ করেই ক্ষুব্ধ হয়ে যান।

যোগাযোগ করা হলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই সাংবাদিকের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়নি। তিনি আমাকে একজনের ব্যক্তিগত বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন, যা আমার এখতিয়ারের বাইরে।'

'বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এবং আমি মনে করি এর সমাধানও হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

কক্ষে ঢুকে ভিডিও নেওয়ার জন্য সাংবাদিক তানভীর তার অনুমতি নিয়েছিলেন বলেও তিনি স্বীকার করেছেন।

কেন ফুটেজটি মুছে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যদি আমার বক্তব্য (ওই বিষয়ে) প্রকাশ করা হয় তবে তা খুবই দুঃখজনক হবে। তাই, আমি তাকে ফুটেজটি মুছে ফেলার জন্য অনুরোধ করেছি।'

'যদি কোনো অসদাচরণ হয়ে থাকে, আমি তার জন্য দুঃখিত। কিন্তু আমি কখনোই তা ইচ্ছা করে করিনি,'  বলেন তিনি।

Comments