‘হাত কেটে ফেললেও আমার স্বামী তো অন্তত বেঁচে আছেন’

'আমার স্বামী তো অন্তত বেঁচে আছেন। হাত কেটে ফেললেও, তিনি যে বেঁচে আছেন এই আমার কাছে অনেক,' বলছিলেন সীতাকুণ্ডে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ নুরুল আফসারের স্ত্রী নাজনীন নাহার।
অচেতন নুরুল আফসারকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছেন স্ত্রী নাজনীন। ছবি: সঞ্জয় বড়ুয়া/স্টার

'আমার স্বামী তো অন্তত বেঁচে আছেন। হাত কেটে ফেললেও, তিনি যে বেঁচে আছেন এই আমার কাছে অনেক,' বলছিলেন সীতাকুণ্ডে শনিবার রাতে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ নুরুল আফসারের স্ত্রী নাজনীন নাহার।

নুরুল আফসার বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

রোববার সন্ধ্যায় চমেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, নুরুল আফসারের বাম হাত কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি অচেতনভাবে বিছানায় পড়ে আছেন। স্ত্রী নাজনীন তার সেবা করছেন।

নুরুল আফসারকে বিএম কনটেইনার ডিপোর উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) দাবি করে নাজনীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার স্বামী ২০১৩ সাল থেকে এই ডিপোতে কর্মরত আছেন।'

তিনি জানান, শনিবার রাতে ডিপোতে নুরুল আফসার সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হলে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

রোববার চিকিৎসকরা তার বাম হাত কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তিনি।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রোববার রাত পর্যন্ত আগুন নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি।

ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এখন পর্যন্ত ১৩ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো ইতোমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহত অপর ৩৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করতে আগামীকাল ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে। নিখোঁজদের স্বজনেরা ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিতের পর তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

আহতদের মধ্যে ১৬৩ জন চমেক, জেনারেল হাসপাতাল ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

 

Comments