সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ড: নিহত বেড়ে ১৯

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোর আগুনে মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলছে। ছবি: রাজীব রায়হান/স্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত ও দগ্ধ আরও ২ শতাধিক মানুষ।

ঘটনাস্থল থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দীন।

তিনি বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত ও দগ্ধ আরও ২ শতাধিক মানুষ।

ফায়ার সাভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেলের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মো. শাজাহান শিকদার ডেইলি স্টারকে জানান, সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৫ কর্মী রয়েছেন। একইসঙ্গে আরও ২ জন নিখোঁজ এবং গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৫ কর্মী।

নিহত ১৯ জনের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন—কুমিরা ফায়ার স্টেশনের নার্সিং অ্যান্টেনডেন্টস মো. মনিরুজ্জামান (৩২), বাঁশাখালী উপজেলার চনুয়া ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের মমিনুল হক (২৪), একই উপজেলার চারিয়ার নাপুরা এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬) ও রবিউল আলম (১৯)। তাদের মধ্যে মহিউদ্দীন বেসরকারি পার্ক ভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

বিভাগীয় কমিশনার আরও জানান, নিহতদের স্বজনেরা যারা হাসপাতালে যাচ্ছেন, তাদেরকে ডিসি অফিসের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। আর আহতদের সহায়তার জন্য তাদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তাদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৪ জন কর্মী রয়েছেন।

ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টায় লাগা আগুন আজ সকাল ৯টা নাগাদও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এখনো আগুন জ্বলছে। চারপাশের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাকানোই কষ্টকর। এ ছাড়া, চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে কেমিক্যালের ঝাঁঝালো গন্ধ।

আগুন ও ছড়িয়ে পড়া কেমিক্যাল নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর ১৫০-২০০ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে আসছে বলেও জানিয়েছেন মো. আশরাফ উদ্দীন।

এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ওই কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago