হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল: এখনো ভাইয়ের খোঁজ পাননি মুন্নী

মুন্নী আক্তার। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে চালক হিসেবে কাজ করতো আক্তার হোসেন (১৭)। কিন্তু, ঘটনার পর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। গতকাল ভোর থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরছেন তার বোন মুন্নী আক্তার (২৮)।

আজ সোমবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সামনে দ্য ডেইলি স্টারের কথা হয় মুন্নীর সঙ্গে। ডিএনএর নমুনা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

'সে আমার স্নেহের ছোটভাই। প্রতিদিন তার সঙ্গে আমার কথা হতো। ঘটনার দিন সন্ধ্যায়ও তার সঙ্গে কথা হয়। কিন্তু, ঘটনার পর থেকে আর তার কোনো খোঁজ পাচ্ছি না। তার মোবাইলও বন্ধ', বলছিলেন মুন্নী।

তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায়। চাকরির সুবাদে সেই ডিপোতেই থাকত আক্তার।

মুন্নী বলেন, 'আমার ভাই বেঁচে আছে, না মারা গেছে, তাও তো বলতে পারছি না। গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৮-১০টি হাসপাতাল ঘুরেছি। কোথাও আমার ভাইয়ের খোঁজ পাইনি।'

অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিচয় শনাক্তে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি বিশেষজ্ঞ দল আজ সকাল ৮টা থেকে মরদেহের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে।

সেখানেই নমুনা দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মুন্নী। 'অপেক্ষা করছি কখন আমার নমুনা নেয়। আমার ভাই যদি মারা গিয়ে থাকে, তাহলে অন্তত যেন তার মরদেহটা আমরা পাই', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

5h ago