এমপি বাহারের বিষয় পাস্ট অ্যান্ড ক্লোজড, এ নিয়ে মন্তব্য করব না: সিইসি

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সংসদ সদস্য বাহারের বিষয়টা আমার দৃষ্টিতে পাস্ট এন্ড ক্লোজড, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।

আজ বুধবার নির্বাচন শেষে রাজধানীর ইসি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় কুমিল্লার এমপি বাহারের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সাংবাদিকদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'প্রথমত মাননীয় সংসদ সদস্য বাহারের বিষয়টা আমার দৃষ্টিতে পাস্ট এন্ড ক্লোজ, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না। বাহার সাহেবের ম্যাটার নিয়ে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আপনারা করেছেন। নির্বাচন পরিসমাপ্ত হয়েছে এখন এই বিষয় নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য আমাকে জিজ্ঞেস করলে আমি করব না।'

'কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ছিল এবং অনুমান করা হচ্ছে প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে', বলেনি তিনি।

তিনি বলেন, 'আমাদের সংবাদকর্মীরা কন্টিনিয়াসলি মনিটরিং করেছে। যারা ভোটার যারা প্রার্থী তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা দেখেছি ইভিএমে বেশ ভালোভাবেই ভোট সম্পন্ন হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন ইভিএমে তাদের একটু অসুবিধা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি যারা একটু বয়ঃবৃদ্ধ তাদের কারো কারো জন্য ব্যক্তি বিশেষের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়েছে। কিন্তু সাধারণভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটটা ভালো হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ছাড়া ৫টি পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে৷ প্রথমবারের মতো সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা রেখেছিলাম। ভোটিং ব্যবস্থায় সিসি ক্যামেরা সংযুক্ত করা নতুনত্ব। আগে থেকেই আমরা কঠোর ছিলাম। যাতে ভোট স্বচ্ছ হয়। সংবাদকর্মীদের অবাধ পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার কাছ থেকে মন্তব্য আমরা পেয়েছি। সকাল বেলা বৃষ্টি হয়েছিল সে সময়ে একটা বিঘ্ন ঘটেছিল যার ফলে ভোট কার্যক্রমে কিছুটা শ্লথ গতি এসেছিল। সার্বিকভাবে আমাদের অভিমত সিটি করপোরেশন নির্বাচন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন কাউন্সিল শান্তিপূর্ণ সুষ্ঠু এবং নির্বিঘ্নে হয়েছে।'

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, 'যারা ভোট দিতে অভ্যস্ত না তাদের বুঝতে সময় লেগেছে। যারা ইভিএমে অভ্যস্ত, ভোট দিয়েছেন বুঝেছেন, তাদের ১৫ সেকেন্ড থেকে ৩০ সেকেন্ড লেগেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

5h ago