ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে ’চাঁদাবাজি’, ৬ পুলিশ প্রত্যাহার

পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ সোমবার তাদের প্রত্যাহার করে কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার খাইরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, 'একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে যেভাবে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, সেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
বর্তমানে সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সজীব মিয়া।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল থেকে আমি নতুন ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।'
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ জুলাই সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান থামিয়ে তল্লাশি করেন টহল পুলিশ সদস্যরা। তবে অভিযোগ ওঠে, অবৈধ পণ্য পরিবহনের অভিযোগ তুলে ওই কাভার্ডভ্যানের চালকের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা আদায় করেন তারা। এ বিষয়ে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রচারিত হলে ঘটনাটি আলোচনায় আসে।
এরপরই হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপারের নির্দেশে ছয়জনকে একসঙ্গে প্রত্যাহার করা হলো। তারা হলেন খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুন রহমান, এএসআই বিপ্লু বড়ুয়া, কনস্টেবল মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মস্তু, সাকিবুল ও মো. জহির মিয়া।
Comments