অন্য এক সকালের গল্প

উদ্বোধন উপলক্ষে পদ্মা সেতু এলাকায় নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ছবি: তুহিন শুভ্র অধিকারী/ স্টার

প্রস্তুত স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এটি শুধু একটি সেতুই নয় বরং বাঙালির পরিচয়। স্বনির্ভরতার প্রতীক। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে জানান দিবে আমরাও পারি।

ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মঞ্চ। সম্পন্ন হয়েছে সমস্ত প্রস্তুতি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সেতুর মাওয়া প্রান্তে সকাল ১০টায় নাগরিক সমাবেশে অংশ নেবেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী সেখানে ফলক খুলে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধন উপলক্ষে সেতু এলাকায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়েছিল এলাকা।

পদ্মা সেতু কেবল বাংলাদেশের রাজধানী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন করবে না বরং এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ ও বাণিজ্যেও অবদান রাখবে।

পদ্মা সেতু ভ্রমণের সময় ও মালামাল পরিবহন খরচ কমানোর মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে এবং এর ফলে বিশেষ করে ২১টি জেলার জন্য এবং সাধারণভাবে সমগ্র জাতির জন্য সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।

নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ বাংলাদেশের আস্থাকে উজ্জীবিত করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের দীর্ঘতম এই সেতু দেশীয় শিল্পগুলোকে স্থানীয় ও বিশ্বকে তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য একটি সুযোগ দিয়েছে। এটি প্রমাণ করেছে যে বাংলাদেশও মানসম্পন্ন উপকরণ তৈরি করতে পারে।

পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি মূল উপাদান বাংলাদেশে তৈরি এবং স্থানীয় শিল্পগুলো এসব নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Myanmar solely responsible for creating favourable conditions for Rohingyas’ return: UN

11 Western countries stress lasting solution hinges on peace and stability in Myanmar

31m ago