বিদ্যুৎ-জ্বালানি নিয়ে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে: সেতুমন্ত্রী

Obaidul Quader
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

আজ সোমবার সকালে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন তিনি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়।'

তিনি আরও বলেন, 'পৃথিবীর প্রায় নব্বই শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির উপর নির্ভরশীল। আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এই মুহূর্তে ইউরোপ-আমেরিকাসহ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'বিশ্বের নানান দেশ অসহনীয় এবং আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়। যেখানে জুন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৯.১ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৯.৪ শতাংশ, জার্মানি ৮.৯ শতাংশ, রাশিয়া ১৫.৯ শতাংশ, তুরস্ক ৭৮.৬ শতাংশ, নেদারল্যান্ড ৯.৪ শতাংশ, শ্রীলঙ্কা ৩৯.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি ২১.৩ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশে জুন মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৭.৫৬ শতাংশ। দেশের ভেতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অবস্থাই তুলনামূলকভাবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।'

যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়নবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির প্রতিভূ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসী, জনগণের প্রতি আহবান জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
NBR speeds up auction process of abandoned goods

NBR moves to speed up auction of abandoned goods

About 2 lakh tonnes of imported goods left abandoned at Chattogram port alone for years

3h ago