মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প: চ্যানেল সম্প্রসারণে খরচ বাড়ছে ৪৪ শতাংশ

মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের খরচ ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা হতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা আনতে যে চ্যানেল ব্যবহার করা হবে, তা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খরচ বাড়বে।

মাতারবাড়ি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের খরচ ৪৪ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৯ কোটি টাকা হতে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা আনতে যে চ্যানেল ব্যবহার করা হবে, তা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় খরচ বাড়বে।

প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী এই চ্যানেলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা যথাক্রমে ৩ কিলোমিটার, ২৫০ মিটার ও ১৫ মিটার হওয়ার কথা ছিল।

প্রকল্পের পরামর্শক সংস্থা জাপানের নিপ্পন কোয়েই ও টেপ্সকো, জার্মানির ফিচনার এবং অস্ট্রেলিয়ার এসএমইসির সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামের পক্ষ থেকে এই চ্যানেল গভীর সমুদ্রের নৌযানের ব্যবহারের জন্য নির্মিত বন্দর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

ফলে এখন চ্যানেলের দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও গভীরতা হবে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার, ৩৫০ মিটার ও ১৮ দশমিক ৫ মিটার।

শুধুমাত্র এই সম্প্রসারণের কারণেই খরচ বাড়বে ১৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা এবং এর বাস্তবায়নে আরও ৩ বছর সময় বেশি লাগবে।

পরিমার্জিত প্রস্তাবটি আগামীকাল জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।

পুরো প্রকল্পে মোট ব্যয় বাড়ছে ১৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা, যার বেশিরভাগ অর্থায়ন করবে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)। প্রকল্পটির জন্য সামগ্রিকভাবে এই দাতা সংস্থার অবদান হবে ৪৩ হাজার ৯২১ কোটি টাকা, যা প্রাথমিক অনুমিত ব্যয়ের চেয়ে ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

অতিরিক্ত খরচের মধ্যে আরও রয়েছে কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে বাড়তি খরচ, প্রকল্পের সময় বৃদ্ধিতে পরামর্শকদের বাড়তি ফি এবং আমদানিকৃত পণ্যের ওপর ভ্যাট ইত্যাদি।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এই প্রকল্প এখন ২০২৩ সালের জুনের পরিবর্তে ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে। অর্থাৎ, পরামর্শকদের ফি বাবদ অতিরিক্ত ৩২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ভ্যাটের পরিমাণ বেড়েছে। যার ফলে প্রকল্পের ভ্যাট সংক্রান্ত খরচ ৩ হাজার ২০ কোটি থেকে বেড়ে ৫ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা হবে বলে পরিমার্জিত প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নথিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে কক্সবাজারের মহেশখালীতে স্থাপিত হতে যাওয়া ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪৪ দশমিক ৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান

Comments

The Daily Star  | English

Lucrative market here drawing interest of foreign powers: Momen

Foreign powers are now more interested in Bangladesh as this rapidly developing country has become a lucrative market for them, said Foreign Minister AK Abdul Momen yesterday

2h ago