‘যারা অপমান করেছে তাদের ক্ষমা চাওয়ার ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সময় এসেছে’

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার বিষয়ে বিশ্বব্যাংককে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা বাংলাদেশকে অপমান করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ফটো

পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলার বিষয়ে বিশ্বব্যাংককে উদ্দেশ্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যারা বাংলাদেশকে অপমান করেছে তাদের ক্ষমা চাইতে হবে ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আজ সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, 'যারা আমাদের সম্মানহানি ও অপমান করেছে, সময় এসেছে তাদের ক্ষমা চাওয়ার এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার।'

যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়াল আলোচনায় অংশ নিয়ে মোমেন বলেন, 'প্রতিষ্ঠানগুলো বড় বলেই তাদের বিশ্বাস করা ঠিক নয়। অনেক সময়, তারা বিভিন্ন উদ্দেশে ছলচাতুরী করে।'

৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার পদ্মা সেতু প্রকল্প দেশীয় অর্থায়নে বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য ঋণদাতারা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে প্রকল্পের অর্থায়ন থেকে পিছিয়ে যায়।

পরে তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করেন এবং দুর্নীতির ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে দুর্নীতির অভিযোগটি কানাডার একটি আদালত খারিজ করে দেয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের অনেক জ্ঞানী ব্যক্তি বিদেশিদের তালে নেচেছেন। তাদের চিন্তাচেতনা পরিবর্তনের সময় এসেছে।'

বর্তমানে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এ অনুষ্ঠানে বলেন, 'বিশ্বব্যাংক গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বড় ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এটা মোটেও ভালো চর্চা নয়।'

'সে সময় আমি বিশ্বব্যাংককে বলেছিলাম যে তার আইনি প্রক্রিয়া দুর্বল। তাদের পদ্ধতিতে মানুষকে শুধু অপমান করা যায়,' বলেন তিনি।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, 'স্বল্পোন্নত দেশগুলো প্রায়ই ঋণদাতাদের নানা ধরনের শর্তের ফাঁদে পড়ে।'

তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সাফল্য অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা।'

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, 'পদ্মা সেতু দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে।'

Comments