‘যুক্তরাষ্ট্রের মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’
'শিনজিয়াংয়ে জোরপূর্বক শ্রম' সম্পর্কিত যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, 'এ বিষয়ে বাংলাদেশ সতর্ক না হলে তা দেশটির গার্মেন্টস শিল্পকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।'
আজ বুধবার '#রাষ্ট্রদূতের_সঙ্গে_এক_মিনিট' শীর্ষক একটি ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
লি জিমিং বলেন, 'এটা আমার নজরে এসেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আনিত তথাকথিত "শিনজিয়াংয়ে জোরপূর্বক শ্রম" সংক্রান্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশের একটি নির্দিষ্ট তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্প সংগঠন সম্প্রতি তাদের সদস্যদের চীন থেকে তুলা আমদানির ক্ষেত্রে ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। আমি আরও লক্ষ্য করেছি যে, সংগঠনটির সঙ্গে কিছু মার্কিন সংস্থার অধিভুক্ত "ইন্দো-প্যাসিফিক সুযোগ প্রকল্প" এর দুই প্রতিনিধির একটি বৈঠকের পরে ওই সতর্ক বার্তাটি দেওয়া হয়েছে।'
'এই তথাকথিত "শিনজিয়াংয়ে জোরপূর্বক শ্রম" সম্পর্কিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কিন্তু তারা কেন মিথ্যা বলছে? এটি এখন ইন্টারনেটে প্রচারিত হয়েছে যে পূর্বে গুয়াংঝুতে দায়িত্বরত দুই মার্কিন কূটনীতিক ২০২১ সালে কথিতভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, যা আমি উদ্ধৃত করছি, "শিনজিয়াংয়ে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু শিনজিয়াংকে আন্তর্জাতিক শিল্প ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন করার এবং উইঘুরদের অসন্তুষ্ট ও অশান্ত করে তুলে চীনা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দেওয়ার একটি কার্যকর উপায় হলো তাদের মানবাধিকার নীতিমালাকে আক্রমণ করা",' বলেন তিনি।
সবশেষে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, 'এই প্রকাশটি ২০১৮ সালে একজন প্রাক্তন উচ্চ-পদস্থ মার্কিন কর্মকর্তার দেওয়া একটি বিবৃতির অনুকরণ। স্পষ্টতই, ওয়াশিংটন শিনজিয়াং সম্পর্কে এই মিথ্যাটি ব্যবহার করেছে চীনকে কলঙ্কিত ও অপমান করতে, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য চীনকে নিয়ন্ত্রণ করা। যে কারণে আমি আজ বিষয়টি এখানে তুলে ধরলাম তা হলো, বাংলাদেশি জনগণ সতর্ক না হলে, এই মিথ্যা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পকেও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। আপনিও কি তাই মনে করেন না?'
Comments