নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে।
প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল জিরো পয়েন্টে গেলে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিল ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা ও লাঠিচার্জের ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট সমাবেশ করার পর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঘেরাও করতে যায়।

মিছিলটি জিরো পয়েন্টে জিরো পয়েন্টে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করে।

লাঠিচার্জে অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাম জোট জানিয়েছে।

ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের দাম কমানো, বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসারণ, সিন্ডিকেট-মজুতদারদের বিচার, সারাদেশে সার্বজনীন রেশনিং চালুর দাবিতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছিল।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে বাম জোটের  সমন্বয়ক বাংলাদেশ  ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির  (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নজরুল ইসলাম।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে   বলেন, 'বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন যে ব্যবসায়ীরা কথা রাখেনি। অথচ ঈদের পর অফিস খোলার প্রথম দিন সরকার ব্যবসায়ীদের দেওয়া কথা রেখেছে। তেলের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়েছে।'

যেখানে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা, সেখানে দাম বাড়িয়ে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেন তারা।

বক্তারা বাণিজ্যমন্ত্রীর অপসারণ ও আওয়ামী সরকারের অবসানে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান জানান।

তারা বলেন, 'বিকল্প বাজার ব্যবস্থা ছাড়া ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনুনয়-বিনয় করে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এজন্য দক্ষ ও দুর্নীতি মুক্তভাবে   তেলসহ নিত্যপণ্য আমদানি, মজুত গড়ে তোলা এবং সারাদেশে সার্বজনীন   রেশনিং ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করতে।'

নেতৃবৃন্দ দুর্নীতিমুক্তভাবে ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা অন্তত ৩ কোটি,  পণ্যের সংখ্যা বাড়ানো ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পৌঁছানোর দাবি জানান।

জিরো পয়েন্টে পুলিশি বাঁধা ও লাঠিচার্জের পর অনুষ্ঠিত সমাবেশে অধ্যাপক আবদুস সাত্তার পুলিশি আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। সারাদেশে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Houses for homeless: A project destined to fall into ruin

At least a dozen homes built for the homeless and landless on a river island in Bogura’s Sariakandi upazila have been devoured by the Jamuna while dozens of others are under threat of being lost.

5h ago