বড়দিনের কেক কাটলেন বিএনপির নেতারা

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে বড়দিনের কেক কাটলেন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ টুকু, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বিজন কুমার সরকার বড়দিনের কেক কাটেন। এর আগে পবিত্র বাইবেল পাঠ করা হয়। এসময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান।
এলবার্ট পি কস্টার সভাপতিত্বে সুব্রত রোজারিও সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী, জনগোমেজ, মার্সেল এম চিরান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, 'সত্যিকার অর্থে বড়দিনে যিশু খ্রিষ্টের এই জন্মদিনে আমাদের এই প্রার্থনা হওয়া উচিত যে, আসুন আজকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, অন্ধকারকে দূর করে আলোয় নিয়ে আসি এবং আমরা সকলকে একটা কল্যাণময় রাষ্ট্র উপহার দিতে পারি।'
মির্জা ফখরুল দলের পক্ষ থেকে এবং খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়কে বড়দিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, 'মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সকলকে নিয়ে সম্প্রীতি তৈরির লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। সেই লক্ষ্যে আমাদের বাস্তবায়ন হয়নি। আজকে দীর্ঘ ৫০ বছর পরে আমরা দেখছি, এখানে মানবতা ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, মানুষের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, ভোটের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে, আমার কথা বলার স্বাধীনতাকে কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।'
'এমনকি আমার ধর্ম পালন করবার অধিকারকেও খর্ব করা হচ্ছে। এই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে যতগুলো সাম্প্রদায়িক দুর্ঘটনা ঘটেছে অন্য কোনো সময় এমনটি ঘটেনি। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ওপরও একইভাবে অন্যায় করা হয়েছে, তাদের ঘর-বাড়ি-উপাসনালয় ধ্বংস করা হয়েছে, তাদের ধর্মযাজকে হত্যা করা হয়েছে। আজকে যেখানে গণতন্ত্র নেই, যেখানে মানুষের অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে, আমাদের সংবিধানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ঐক্য সৃষ্টি করা।'
Comments