লালমনিরহাটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেল ৯৫০ পরিবার

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে এক পরিবার। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

লালমনিরহাটের ৫ উপজেলায় ৯৫০ ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সুবিধাভোগী পরিবারগুলো ঘরে বসবাস শুরু করতে যাচ্ছে।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের সুবিধা পাওয়া ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারগুলোর মধ্যে লালমনিরহাট সদর উপজেলায় ১৭৫, আদিতমারীতে ২৫৫, কালীগঞ্জে ২২৫, হাতীবান্ধায় ১২৫ ও পাটগ্রামে ১৭০টি রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, ৯৫০ ঘর তৈরিতে সরকারের খরচ হয়েছে ২৫ কোটি ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের বৈরাগিহাট গ্রামের বিমল চন্দ্র ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে নিয়ে খাস জমিতে ছোট এক চালা ঘরে থাকতাম। ঘর বানানোর সামর্থ্য নেই। ঝড়-বৃষ্টিতে ঘুমাতে পারতাম না।'

'সরকারি ঘর পেয়ে খুব খুশি হয়েছি,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'এখন আর ঝড়-বৃষ্টির ভয় নাই। শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।'

কাকিনা ইউনিয়নের জেলেপাড়া এলাকার মজিবর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাস্তার পাশে খাস জমিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে থাকতাম। বসতভিটার জন্য জমি কেনা ও ঘর তৈরির সামর্থ্য নেই। সরকারি ঘর পেয়ে খুব খুশি। সরকার আমাদেরকে ঘর দিয়েছে। আমরা তা কখনো ভুলবো না।'

কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘর তৈরির মান যাচাইয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ একাধিকবার এ স্থান পরিদর্শন করেছেন। ঘর তৈরিতে মানসম্মত সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।'

আদিতমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্মকর্তা (পিআইও) মফিজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখানে বিশুদ্ধ পানির জন্য নলকূপ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।'

সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এমপি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাংলাদেশে কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবেন না। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের অধিকাংশ ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষ সরকারি ঘর পেয়ে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছেন। অবশিষ্টদের ঘরের সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রকল্প চলমান আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says US forces bombed Iran nuclear sites; says 'Fordow is gone'

Trump ended his posting saying, "Now is the time for peace."

29m ago