সামাজিক নিরাপত্তায় এডিবির ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ
আর্থ-সামাজিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশের দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং আজ মঙ্গলবার পলিসিভিত্তিক এই ২৫০ মিলিয়ন ঋণচুক্তিতে সই করেন।
এই চুক্তির অধীনে বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে দক্ষতা বৃদ্ধি ও সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতা বাড়ানো হবে।
ঋণটি ২০২১ সালে অনুমোদিত স্ট্রেংথেনিং অফ সোশ্যাল রেজিলিয়েন্স প্রোগ্রামের (এসএসআরপি) দ্বিতীয় উপ-প্রোগ্রাম, যা বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তার অন্তর্ভুক্তি এবং সাড়াদানকে শক্তিশালী করতে প্রাতিষ্ঠানিক ও নীতি সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।
এ প্রসঙ্গে এডিমন জিনটিং বলেন, 'এডিবি বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিক পুনরুদ্ধার ত্বরান্বিত করতে এবং একটি সমন্বিত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারকে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
'সমন্বিত কর্মসূচি সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করবে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াবে, জনসংখ্যা, ভৌগলিক, বয়স, লিঙ্গ এবং সব ধরনের মানুষের প্রয়োজন মেটাবে এবং সামাজিক নিরাপত্তার আওতা ও দক্ষতা বাড়াবে,' যোগ করেন তিনি।
এডিবি এক বিবৃতিতে জানায়, কর্মসূচির অধীনে ডিজিটালাইজেশন এবং সিস্টেমের সমন্বিতকরণের পাশাপাশি বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড পেমেন্ট পরিষেবার মাধ্যমে মোবাইল আর্থিক পরিষেবা উন্নত করার মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিতদের আর্থিকভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
এ ঋণের আওতায় সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় ৬০ শতাংশ সুবিধাবঞ্চিত নারীদের নগদ অর্থ বিতরণ করা হবে এবং ৩টি মন্ত্রণালয়ে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির বিভক্তি কমানো হবে। সক্রিয় মোবাইল আর্থিক পরিষেবা অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বার্ষিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হবে।
এছাড়া, ১০টি সিটি করপোরেশনে অন্তত ৫০টি মোবাইল ক্লিনিক চালু হবে।
২০২৩ সালের মধ্যে কমপক্ষে একটি সামাজিক বীমা প্রকল্প পাইলট ভিত্তিতে শুরু করা হবে বলে এডিবি জানিয়েছে।
Comments